অনেক জল্পনা-কল্পনার পর ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত হয়েছে। এই সু-সংবাদের রেশ না কাটতেই শোনা যাচ্ছে আরও একটি সিরিজের খবর। ইংল্যান্ড আসার আগেই বাংলাদেশ সফরে আসবে আফগানিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দল। সিরিজে তারা খেলবে তিনটি ওয়ানডে। সম্ভাব্য সূচি অনুসারে প্রথম ম্যাচ মাঠে গড়াতে পারে ২৫শে সেপ্টেম্বর। তেমনটি হলে এর আগেই আফগান ক্রিকেটাররা বাংলাদেশে চলে আসবে। যদিও এই বিষয়ে বিসিবি’র সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। একটি সংক্ষিপ্ত সিরিজের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি সিরিজ আয়োজনের চেষ্টা হচ্ছে। তবে সেটি নিয়ে এখনও বলার মতো কিছু হয়নি।’ অন্যদিকে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, ‘সিরিজের সম্ভাবনা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। এটা এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে আলোচনা চলছে। আমরা আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করে ফেলতে পারবো।’ সংক্ষিপ্ত এই সফরে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচই হতে পারে মিরপুর শেরে বাংলা মাঠে। মূলত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামার আগে এটি হবে টাইগারদের শক্তি ও সামর্থ্য যাচাইয়ের সিরিজ। গতবছর নভেম্বরে মাশরাফিরা শেষ ওয়ানডে খেলেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর আর কোনো আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে মাঠে নামেনি টাইগাররা। এর মাশরাফি বাহিনী ব্যস্ত ছিল টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে। এই বছরটা কাটে টি- টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে। যে কারণে আফগানিস্তান যদি এই সফরে আসতে আসে তাহলে প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের পক্ষে দলের শক্তি যাচাই করে নেয়া সহজ হবে বলেই মনে করেন টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘যদি আফগানিস্তান আসে তাহলে আমাদের জন্য অনেক দিন পর দলের শক্তি ও সামর্থ্য যাচাইয়ের সুযোগ থাকছে। তবে একটা খারাপ দিকও আছে আফগানদের বিপক্ষে কোনোভাবে হেরে গেলে সেটি দলের উপর মানসিক চাপও তৈরি করতে পারে। তবে আমি মনে করি ভালো দিকটাই বেশি। এতে করে মোস্তাফিজের পরিবর্তে কাকে দলে খেলানো যায়, পেস আক্রমণটা কাদের কাদের নিয়ে সাজানো হবে সেটি প্রধান কোচ আগে থেকেই একটি পরীক্ষা করে ফেলতে পারবেন। সেই সঙ্গে ব্যাটিংয়ে কে কেমন ফর্মে আছে সেটিও জেনে নিতে পারবেন। ফিটনেসটাও যাচাই হয়ে যাবে এই সিরিজের মাধ্যমে।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.