বৃটেনের ডারহাম ইউনিভার্সিটির ফরেনসিক সায়েন্স বিভাগের বাংলাদেশি গবেষক মেহযেব রহমান চৌধুরী। তার একটি উদ্ভাবন এরই মধ্যে তৈরি করেছে ব্যাপক আলোচনা। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আদালত কক্ষে বসেই বিচারকরা কিভাবে ক্রাইম সিন দেখতে পারবেন তা নিয়েই এ গবেষণা। কোনো একটি ক্রাইম সিন প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় যেমন ছিল ঠিক সেভাবেই বার বার দেখতে পাওয়া যাবে। শুধু বিচারক নয়, এ প্রযুক্তি সহায়তা করবে তদন্তকারীদেরও। মেহযেব চৌধুরীর এই গবেষণা নিয়ে এরইমধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল, বিজনেস ইনসাইডারসহ দুনিয়ার অনেক খ্যাতিমান সংবাদপত্র। তার সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে রাশিয়ার স্পুটনিক নিউজে। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বিস্তারিত কথা বলেছেন তার গবেষণা নিয়ে। মেহযেব চৌধুরী বলেছেন, তিনি যে ভার্চুয়াল ক্রাইম সিনের কথা বলছেন সেটা বাস্তবতার অনুরূপ একটি রূপ নয়, প্রকৃত ক্রাইম সিনটিই ভার্চুয়ালি তুলে ধরা হবে। মি. চৌধুরী ও তার সহকর্মীরা এমন একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সিস্টেম গড়ে তুলতে কাজ করছেন যা একটি ক্রাইম সিনের বিস্তারিত ভিডিও ফুটেজ ধারণ করবে। দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত একটি ব্যবস্থার মাধ্যমে বিচারকরা এমনভাবে ক্রাইম সিনটি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন যেন তারা ঘটনাস্থলের মাঝেই রয়েছেন। আদালত কক্ষ ছেড়ে তাদের বের হতে হবে না। মেহযেব চৌধুরী এটাও সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, নতুন এই ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা মোটেও ব্যয়বহুল হবে না। এমন একটি রোবোটিক সিস্টেম গড়ে তোলার ব্যাপারে কিভাবে অনুপ্রাণিত হলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে মেহযেব চৌধুরী হাই-প্রোফাইল ধারাবাহিক কিছু ঘটনার প্রসঙ্গ টানেন যেসব ঘটনা সমাধা করা যেতো শুধুমাত্র ক্রাইম সিন নিয়ে বিচারকদের আরো তথ্য সরবরাহ করার মাধ্যমে। মেহযেব চৌধুরী এও জানান, তার এই সিস্টেমটি নাসার কিউরোসিটি মার্স রোভার থেকে অনুপ্রাণিত যা ৩৬০ ডিগ্রিতে ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারে। এসব ভিডিও ও ছবি যে কোনো কম্পিউটার ও স্মার্টফোনে দেখা সম্ভব। এতে খুব শক্তিশালী কোনো ডিভাইস প্রয়োজন হয় না। আর এটা একটি ক্রাইম সিনের ছবি প্রতিটি কোণ থেকে নিখুঁতভাবে ধারণ করতে সক্ষম। এ সিস্টেমটি ব্লুটুথ রিমোট, স্মার্টফোন বা ট্যাব দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.