অভিবাসন ইস্যুতে স্থির কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। আজকেই তিনি অভিবাসন ইস্যুতে দেখাচ্ছেন কঠোরতা, কালই হয়ে পড়ছেন নমনীয়। গত এক সপ্তাহে বলতে গেলে প্রতিদিনই এ নিয়ে নিজের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানের কথা জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ইস্যুতে ট্রাম্পের প্রকৃত অবস্থান কী? এমন প্রশ্নের জবাবে রিপাবলিকান দলের জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান রেইন্স প্রিবাস নিজেও নিশ্চিত কিছু বলেননি। তিনি বলেছেন, ‘অল্প কিছুদিনের’ মধ্যেই সবাই সেটা জানতে পারবে। এ খবর দিয়েছে এনবিসি নিউজ। খবরে বলা হয়, রোববার এনবিসির এক অনুষ্ঠানে প্রিবাস কথা বলেছেন অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্পের অবস্থান নিয়ে। এ সময় তিনি বলেন, ‘তিনি এটা নিয়ে কাজ করছেন এবং তার অবস্থান জানা যাবে।’ কবে নাগাদ ট্রাম্পের চূড়ান্ত সেই অবস্থান জানা যাবে সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি প্রিবাস। তিনি বলেছেন, ‘আমরা শিগগিরই সেটা ডনাল্ড ট্রাম্পে কাছ থেকে জানতে পারবো। আমার মনে হয়, খুব দ্রুতই তিনি এ বিষয়ে প্রস্তুত করা মন্তব্য জানাবেন।’ গত এক সপ্তাহে অভিবাসন ইস্যুতে নানা ধরনের অবস্থান নিয়েছেন ট্রাম্প। একবার তিনি অভিবাসীদের প্রসঙ্গে নমনীয়তা দেখিয়েছেন। আরেকদিন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে প্রথম দিনই ‘অপরাধী অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত বিতাড়িত করবেন’। অন্য এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন অভিবাসন ইস্যুতে তার নীতি কেমন হবে। ট্রাম্পের এমন দ্রুত অবস্থান বদলে অভিবাসন ইস্যুতে তার প্রকৃত অবস্থান বুঝতে পারছেন না কেউই। রিপাবলিকান জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রিবাস এ বিষয়ে কথা বলার আগেই অবশ্য বলে নিয়েছেন, ‘আমি ট্রাম্পের পক্ষে কথা বলার কেউ নই।’ তারপরও তিনি অভিবাসন নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা দিয়েছেন। প্রিবাস বলেন, ‘তার অবস্থান কঠোর হবে, তার অবস্থান ন্যায়সঙ্গত হবে। কিন্তু তার অবস্থান মানবিকও হবে। ২০০৬ সালে সীমান্তে দেয়াল তৈরির জন্য কংগ্রেস যে উদ্যোগ নিয়েছিল তা সম্পন্ন করবেন ট্রাম্প। আর অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে আমার মনে হয় ট্রাম্প সেসব ব্যক্তির ওপর চড়াও হবেন, যারা অপরাধী এবং যাদের এখানে থাকা উচিত নয়।’ অপরাধী বলতে কাদের বোঝানো হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রিবাস বলেন, ‘এসব প্রশ্নের উত্তর ট্রাম্প নিজেই দেবেন।’ জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টিতে ট্রাম্পের অবস্থান কী হবে, সেই প্রশ্নও এড়িয়ে গেছেন প্রিবাস।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.