দুই সিনিয়র প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তারের কারণে গতকাল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাজউক) অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকালে অফিসে এসে সব ধরনের কাজকর্ম বন্ধ করে দেন। এরপর সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক সময় রাজউক ভবনের নিচে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। গতকাল সকাল সাড়ে দশটায় রাজউক ভবনের চেয়ারম্যান ফ্লোরে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষের সভা বন্ধ করার জন্য স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় রাজউক শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন চৌধুরী, শ্রমিক লীগ নেতা আওরঙ্গজেব সিদ্দিকী নান্নু, শামসুল আলম মিল্কি, মাহবুব এবং অফিসার্স এসোসিয়েশনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওই সময় চেয়ারম্যানের রুমের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বলেন, আগামীকাল (আজ) সকাল নটার মধ্যে তাদের মুক্তির ব্যবস্থা না করলে রাজউক ভবনে সব ধরনের কাজ বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে রাজউক ভবনে অবস্থিত দুদকের কার্যালয় গুটিয়ে নিতে হবে। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, নানা ছুঁতোয় রাজউকের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হেনস্তা করতে ফাঁদ পেতেছে। তারা আমাদের প্রতিষ্ঠানের মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। আজই (গতকাল) তার অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে সেগুনবাগিচা দুদক কার্যালয়ে আটক করে ফতুল্লা থানায় সাজানো মামলা করা হয়। তার সঙ্গে প্রকৌশলী সাইদুর রহমানকে আটক করা হয়। ওই মামলায়ও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং বলতে থাকেন ‘মনোয়ার, সাইদুরের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’। এমন পরিস্থিতিতে বোর্ড মিটিং স্থগিত করতে বাধ্য হন রাজউকের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম চৌধুরী। এর আগে গত সোমবার বিকালে রাজউকের দুই প্রকৌশলীকে গ্রেপ্তার করে দুর্নীতি দমন কমিশন। তাদের একজন হলেন রাজউকের উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক মো. ছাইদুর রহমান। অন্যজন হলেন রাজউকের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং গুলশান-বনানী-বারিধারা ও উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মনোয়ারুল ইসলাম।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.