আমরা যারা বিত্তশালী তারা সব সময় ভ্রমনে যাই হয়ত অন্য কোন দেশে । কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ গুলো কেমন আছে আমরা কখনো দেখতে যাই নি। চলুন তাহলে আজকে আমরা আমাদের দেশে থাকা কিছু মানুষের জীবনযাপন দেখে আসি ।
গ্রমটির নাম কলাবগী।খুলনার দাকোপ উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় তিন বর্গকিলোমিটারজুড়ে কালাবগী গ্রাম। এই গ্রামে প্রায় দুই হাজার মানুষের বাস। ভূমিহীন এসব পরিবারের জীবিকা চলে নদী থেকে বাগদা ও গলদার রেণু পোনা সংগ্রহ এবং মাছ বিক্রি করে। অনেকে আবার সুন্দরবনে কাঠ, গোলপাতা ও মধু সংগ্রহ করেন। শিবসা নদীর চরে সুন্দরবনের কাঁকড়াগাছের খুঁটি, শিরীষ কাঠের পাটাতন ও গোলপাতার বেড়া দিয়ে তৈরি টংঘরে বাস করেন তাঁরা।
ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে স্কুলে যাচ্ছে কালাবগী গ্রামের শিশুরা। এভাবে ঝুকি নিয়ে পার হয় কলাবগী গ্রামের সবাই।
শিবসার চরে সুন্দরবনের কাঁকড়াগাছের খুঁটি, শিরীষ কাঠের পাটাতন ও গোলপাতার বেড়া দিয়ে তৈরি এসব টংঘরে বাস করে কালাবগী গ্রামের মানুষ। যেখানে আভিজাত্যের কোন ছোয়া ই লাগে নি কখনো ।
নদীভাঙনে বসতির জমি চলে গেছে শিবসার পেটে। এ ছাড়া সিডর ও আইলার আঘাতে বসতভিটা-রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় বিলীন হতে চলেছে কালাবগী। অথচ এখানে কোন ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি ।
সুন্দরবনে মাছ শিকারে গিয়ে বাঘের কবলে প্রাণ হারান এই নারীর স্বামী। এরপর থেকে ভদ্রা নদীতে চিংড়ি ধরে জীবন চালান এই নারী।
বাড়ির পাশের খালে ভাটার সময় চিংড়ি ধরছেন এই নারী। তাঁর একমাত্র আয়ের উৎস চিংড়ি।
কালাবগী গ্রামের পূর্বে ভদ্রা, পশ্চিমে শিবসা নদী আর ওপারে সুন্দরবন। কালবৈশাখীর নির্মম ছোবল, খাওয়ার পানির জন্য নিরন্তর সংগ্রাম, রোগ-শোক আর নিদারুণ দারিদ্র্য নিয়েই টিকে আছে কালাবগীর মানুষ।
টংঘরের দরজার কাছে বসে দুপুরের খাবার খাচ্ছে এক শিশু।
কালাবগীতে টিকে থাকা কষ্টকর। তাই ভিন্ন গ্রামে নতুন আবাসের খোঁজে চলছে এই পরিবার।
নাতিকে পিঠে নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন এই ব্যক্তি। নদী থেকে পোনা আহরণ নিষিদ্ধ করায় দারিদ্র্যের বোঝা আরও বেড়েছে এই গ্রামবাসীর।
খাওয়ার জন্য রাখা বৃষ্টির পানি কলসে ছেঁকে নিচ্ছেন এই নারী। সংগ্রহ করা পানি শেষ হলে দুই কিলোমিটার দূরে অন্য উপজেলা থেকে খাওয়ার পানি আনতে হবে তাঁদের।
কুত কুত খেলছে দুই শিশু।
আসুন আমরা এই মানুষ গুলোর পাশে দাড়াই ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.