পুলিশ ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার লোকমান হোসেনের সঙ্গে কিছুদিন ধরে তাঁর বড় ভাই মহসিন হোসেনের পারিবারিক বিরোধ চলছে। শনিবার বিকেলে লোকমান ও মহসিন হোসেনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে মহসিনের দুই ছেলে রিয়াদ হোসেন (৩৫) ও আসলাম হোসেন (২৮) এসে চাচা লোকমান হোসেন ও তাঁর দুই মেয়ে নীলা আক্তার (১০) ও লামিয়া আক্তারকে (৮) মারধর করতে থাকেন। ডাক-চিৎকারে লোকমানের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫) ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তাদের রক্ষার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে রিয়াদ সেলিনার পেটে লাথি মারেন। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতে অস্ত্রোপচার করলে সেলিনার মৃত সন্তান হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে। গতকাল রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেলিনা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় গতকাল লোকমান হোসেন বাদী হয়ে বড় ভাই মহসিন হোসেন, ভাতিজা রিয়াদ ও আসলামের নামে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেন। লোকমান হোসেন বলেন, ‘তারা বাপবেটা তিনজন আমাকে মারতেছিল। আমার স্ত্রী এগিয়ে এলে ভাতিজা রিয়াদ তাঁর পেটে লাথি দেয়। এতে আমার নবজাতক মেয়ের মৃত্যু হয়।’ কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোতালেব মিয়া বলেন, এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।