রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রকল্প সাইটে বিশেষ পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হবে। এ জন্য জরুরিভিত্তিতে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি বিজিবি’র দায়িত্ব পালনের সীমারেখা নির্ধারণ করা হবে। এর মাধ্যমে দেশে এই প্রথম কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে নিরাপত্তার জন্য বিজিবি মোতায়েন করা হবে। গত ১লা আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন মনিটরিং সংক্রান্ত ষষ্ঠ পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের অধীন আবাসিক এলাকাগুলোকে কেপিআই হিসেবে গণ্য করার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাতে হবে। এছাড়া, প্রকল্প সাইটে বিশেষ পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েনসহ জরুরিভিত্তিতে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করতে হবে। বিজিবি’র ক্ষেত্রে বিজিবি প্রকল্পের কাছাকাছি কতদূর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবে সে সীমারেখা নির্ধারণ করতে হবে। ওই সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, এটি স্বরাষ্ট্র, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন (১ম পর্যায়) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বাস্তবায়ন করবে বলে উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত জানার পর গত ৯ই আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি দেয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। এর ভিত্তিতে কাজ শুরু করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা শাখা। গত ১লা সেপ্টেম্বর নিরাপত্তা-৩ অধিশাখা থেকে পুলিশ উইং-এর কাছে একটি ইউ নোট পাঠিয়েছেন উপ-সচিব মো. নায়েব আলী। ওই চিঠিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের চিঠির বক্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের নিরাপত্তায় বিশেষ পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েনের বিষয়ে নিরাপত্তা শাখার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ পুলিশ উইং সংশ্লিষ্ট বিধায় পত্রটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে পাঠানো হলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ উইং সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা শাখার ইউ নোটের ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছেন তারা। তাই সহসাই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.