ভুটানের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের এই জীবন-মরণ প্লে-অফে বাংলাদেশের আক্রমণভাগে যারা খেললেন, তারা কেউই গোল করতে অভ্যস্ত নন। গত ২০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে বাংলাদেশ ৫৫ গোল খেয়ে দিয়েছে মাত্র ১১টি। ৪ জয়ের বিপরীতে ৩ ড্র, ১৩ হার। এই ১১ গোলের মধ্যে একটি আত্মঘাতী, একটি এসেছে পেনাল্টি থেকে। তিন ডিফেন্ডার তপু বর্মন, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী ও ইয়াসিন তিনজনে মিলে করেছেন চার গোল। বাকি পাঁচ গোলের মধ্যে শাখাওয়াত হোসেন রনি দুটি ও জাহিদ হাসান এমিলি, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস ও নাবীব নেওয়াজ জীবন করেছেন একটি করে। এমিলি না থাকলেও ভুটান ম্যাচে খেলেছেন জীবন, রনি দু’জনেই। এদের সঙ্গে আর তপু, সোহেল রানা, জুয়েল রানা, রুবেল মিয়াকে দিয়েও গোল করানোর চেষ্টা করেছেন। এরপরও ঘরের মাঠে ভুটানের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে খাদের কিনারায় পৌঁছে গেছে বাংলাদেশের ফুটবল। ১০ই অক্টোবরের অ্যাওয়ে ম্যাচে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে জীবন-রনিদের। কঠিন এই পরীক্ষায় মুখোমুখি হওয়ার আগেই বাফুফে সভাপতির কঠিন সমালোচনার মুখোমুখি হলেন ফুটবলাররা। আলফাজ নকীবও দুষছেন ফুটবলারদের। ভুটানের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করলেও এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। ভুটানের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচের আগে ওই গোল দেয়ার ব্যক্তিটিই খুঁজছেন সেইন্টফিট। আর স্ট্রাইকারদের দক্ষতা বাড়াতে বাফুফে সভাপতির পরামর্শ ফুটবালরদের আরো অনুশীলনে মনোযোগী হওয়ার। ‘একজন সফল ফুটবলার হতে একটা জিনিসই দরকার’ প্রাকটিস, প্রাকটিস, প্রাকটিস’- কথাগুলো বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের। ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ড্র এবং সুযোগের পর সুযোগ পেয়েও স্ট্রাইকাররা গোল করতে না পারায় ব্যথিত হয়েছেন তিনি। তবে স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় ক্লাবগুলোকেই দুষছেন কোচ টম সেইন্টফিট। এ বিষয়ে দ্বিমত করে সালাউদ্দিন বলেন, ‘জায়গা কেউ কাউকে দিয়ে দেয় না। তুমি ফরেনারকে বিট করে জায়গা করে নাও। আমি নিজে একজন কোচ ছিলাম। একজন কোচ কখনও একজন ভালো খেলোয়াড়কে বসিয়ে রেখে অন্যজনকে খেলান না। ফুটবলে ট্যালেন্ট বলে কিছু নেই। প্রয়োজন প্রচুর অনুশীলন।’ এছাড়া ফুটবলারদের ক্লাব পর্যায়ে যোগ্যতার থেকে বেশি টাকা পাওয়াটাও একটা সমস্যা হিসেবে দেখছেন বাফুফে বস। এজন্য আগামী মৌসুমে ফুটবলারদের বেতনের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। কোচ সেইন্টফিট চেয়েছিলেন ভুটান ম্যাচের আগ পর্যন্ত দীর্ঘ মেয়াদে ক্যাম্প করতে। সালাউদ্দিনও সেটি চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে বাফুফের বিভিন্ন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে বুঝতে পারলেন লীগ পিছিয়ে দিলে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই আর ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাননি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.