লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মেহেদী হাসান বিপ্লব (১৮) বর্তমানে পলাতক রয়েছে। গতকাল শনিবার উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বত্রিশ হাজারী গ্রামের কুটিরপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বিকালে অসুস্থ ওই ছাত্রীকে পুলিশ উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। জানা যায়, জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর বত্রিশ হাজারী গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে মেহেদি হাসান বিপ্লব প্রতিবেশী ওই মাদ্রাসার ছাত্রী (১৩) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিপ্লব অন্য একটি মাদ্রসার আলিম শ্রেণির ছাত্র। এ অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে মেয়েটিকে সুকৌশলে বাড়ি থেকে বের করে আনে বিপ্লব। পরিবারের লোকজন সারা রাত খোঁজাখুঁজি করে মেয়েটির কোন হদিস পায়নি। পরের দিন শনিবার দুপুরে বাড়ির অদূরে কুটিরপাড় মাদ্রাসার মাঠে খেলতে যায় গ্রামের কয়েকজন শিশু। সেখানে মাদ্রাসার একটি ঘরে বিপ্লবের সাথে মেয়েটিকে দেখতে পায় গ্রামের শিশুরা। এরপর তারা মেয়েটির বাবা মাকে খবর দিলে এই ফাঁকে বিপ্লব পালিয়ে যায়। মেয়েটি পরিবারের লোকজনের কাছে ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা খুলে বলে। একপর্যায়ে মেয়েটি ছেলের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় চায়। কিন্তু, বিপ্লবের পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় বলে জানায় মেয়েটি। মেয়েটি আরো জানায়, বেশকিছুদিন আগে বিপ্লব তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কয়েকদিন ধর্ষণ করে তাকে। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে তাকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে বলে বাড়ি থেকে গোপনে ডেকে আনে। এরপর, পার্শ্ববর্তী কুটিরপাড় মাদ্রাসার একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে রাতভর বিপ্লব তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ মেয়েটির। মেয়ের বাবা জানান, আমার সহজ সরল মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিপ্লব তার সর্বনাশ করেছে। তাই বিপ্লবের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন তিনি। এদিকে, কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে সটকে পড়েছে বিপ্লবের পরিবারের সদস্যরা। সেখানে উপস্থিত কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদ বলেন, মেয়েটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত বিপ্লবের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। এ ব্যপারে কালীগঞ্জ থানার (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাত জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.