মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলা মানেই ‘চমকে’র অপেক্ষা। যদি এক-দুই শব্দের জায়গায় এক-দুইটা লাইনই বলে ফেলেন! ঘনিষ্ঠ মহলে আড্ডাপ্রিয় মোস্তাফিজই সংবাদমাধ্যমের সামনে এতটা আড়ষ্ট। কালও ব্যতিক্রম হলো না। যত বড় প্রশ্ন, তত ছোট উত্তর। একটা উদাহরণ— *বয়সের কারণেই কোর্টনি ওয়ালশের খেলা আপনার দেখার কথা নয়। তবু তাঁর সম্পর্কে কতটুকু ধারণা আছে? মোস্তাফিজের উত্তর: কঠিন প্রশ্ন। এ রকম আরও অনেক প্রসঙ্গই এক-দুই কথায় বা হেসে পার করে দেন মোস্তাফিজ। তবে কাঁধের চোট ও চলমান পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া নিয়ে একটু বিস্তারিত বলেছেন। তারপরও সেটি এমন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, অনেক ভালো অবস্থা এখন। অস্ত্রোপচারের পর ডাক্তার দেখেছিল। তখন থেকে এখন পর্যন্ত ছয় সপ্তাহর মতো পার হয়েছে। যেভাবে বলা হচ্ছে, সেভাবেই কাজগুলো করছি। সবকিছু ভালোর দিকে যাচ্ছে।’ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় একবার চোটে পড়েছিলেন। পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে তাই ভালোই ধারণা আছে মোস্তাফিজের। কিন্তু খেলা থেকে দূরে থাকতে কার ভালো লাগে! আর মোস্তাফিজ তো জাতীয় দলে ঢোকার পর পুরো সিরিজের জন্য বাদ পড়লেন এই প্রথম! হতাশাটা লুকালেন না বাঁহাতি পেসার, “যখন জাতীয় দলে ছিলাম না, তখন তো এমন সময়ই কাটাতাম। তবে এই পর্যায়ে আসার পর কাটানো হয়নি। জাতীয় দলে আসার পর খেলার মধ্যেই ছিলাম। এখন খেলতে পারছি না। মিস তো অবশ্যই করছি।’ আসন্ন আফগানিস্তান বা ইংল্যান্ড কোনো সিরিজেই মোস্তাফিজের খেলার সম্ভাবনা নেই। সব ঠিকভাবে এগোলে হয়তো ডিসেম্বর-জানুয়ারির নিউজিল্যান্ড সফরেই ফিরবেন মোস্তাফিজ। দেশের বাইরে সেটাই হবে তাঁর প্রথম সিরিজ খেলা। মোস্তাফিজও আছেন সেই অপেক্ষায়, ‘সুস্থ হওয়ার পর আশা তো থাকবেই খেলার। দেশে সফল হয়েছি, চেষ্টা করব দেশের বাইরে খেললে সেখানেও সফল হতে।’ চোটের কারণে আপাতত জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও পুনর্বাসন চলছে বলে মিরপুরের একাডেমি ভবনেই থাকছেন মোস্তাফিজ। মাঝেমধ্যে মাঠের দিকে এসে ঢুঁ মারেন অনুশীলনে, সতীর্থদের সঙ্গে চলে আড্ডা, দুষ্টুমি। কাল সেসবেরই একফাঁকে কথা বললেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। সেখানে কথাবার্তায় মোস্তাফিজ যেমন আগের চেহারাতেই দেখা দিলেন, চোট কাটিয়ে মাঠেও ফিরতে চান পুরোনো রূপেই।