যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প পরস্পরের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বিতর্কে অংশ নিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশ সময় আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে এই বিতর্ক শুরু হয়। ৯০ মিনিটের বিতর্কে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করছেন এনবিসি টিভির লেস্টর হল্ট। হিলারি ও ট্রাম্প আরও দুটি বিতর্কে মিলিত হবেন। নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণে দুই প্রার্থী ইতিমধ্যে প্রায় দেড় বছর কাটিয়েছেন। তাঁরা অসংখ্য বিতর্ক ও নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়েছেন। পত্রিকা-টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এসব ছাপিয়ে দুজনের জন্যই মুখোমুখি বিতর্ক গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য হিলারি ও ট্রাম্প আজ কার্যত ভোটারদের সামনে ‘সাক্ষাৎকার’ দিলেন। বিতর্কে তাঁরাই ঠিক করবেন, কে বেশি যোগ্য। ট্রাম্পের চেয়ে হিলারির জন্য ঝুঁকি বেশি। হিলারি সবচেয়ে অভিজ্ঞ, সবচেয়ে পরীক্ষিত প্রার্থী, এভাবেই তাঁকে দেশের জনগণের কাছে পরিচিত করানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশটির ৫৫ শতাংশ মানুষ তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। গোড়া থেকেই হিলারি যে সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলেন, গত এক মাস ই-মেইল বিতর্ক ও ক্লিনটন ফাউন্ডেশন নিয়ে কারচুপির অভিযোগ এবং শারীরিক সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ তাতে ফাটল সৃষ্টি করেছে। ঠিক এ মুহূর্তে জনসমর্থনের দিক দিয়ে হিলারি ও ট্রাম্পের মধ্যে কার্যত দূরত্ব নেই। অন্যদিকে ট্রাম্পের ব্যাপারে সবার প্রত্যাশা এতই কম যে ৯০ মিনিট একেবারে গুলিয়ে না ফেললে তাঁকেই জয়ী ভাববে অধিকাংশ রিপাবলিকান এবং স্বতন্ত্র ভোটারদের একটি বড় অংশ দুই প্রার্থীর মধ্যকার বিতর্কের ওপর নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক ভোটারের সিদ্ধান্ত। তিন পর্বের বিতর্ক দেখেই দেশটির ভোটারদের প্রায় ৫০ শতাংশ সিদ্ধান্ত নেবেন, কাকে ভোট দেওয়া যায়। গতকাল সোমবার প্রকাশিত রয়টার্স/ইপসোসের একটি জরিপের ফলাফলে এই তথ্য জানানো হয়। আরও পড়ুন: হিলারি-ট্রাম্প প্রথম বিতর্ক শুরু যোগ্যতা প্রমাণের পরীক্ষায় হিলারি ও ট্রাম্প বিতর্ক দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন অর্ধেক ভোটার