নতুন নতুন হাঁটতে গিয়ে বা ব্যায়াম শুরু করলে অনেকেই প্রথম প্রথম পেশি বা লিগামেন্টে আঘাতের মুখোমুখি হয়। অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে হাঁটতে গিয়ে, সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে বা বাস-ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে এ রকম আঘাত লাগে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই আঘাত হলো স্প্রেইন ও স্ট্রেইন। অর্থাৎ পেশি বা পেশিসংলগ্ন লিগামেন্ট বা রগে টান পড়া, ছিঁড়ে যাওয়া বা আঘাত পাওয়া। শুধু খেলোয়াড়েরা নয়, যে কেউ এই আকস্মিক আঘাত পেতে পারে। শরীরের ওজন ভুলবশত পায়ের গোড়ালির কিনারার দিকে বা গোড়ালির লিগামেন্টের বাইরের দিকে পড়লে এ রকম ইনজুরি হতে পারে। যাঁরা নতুন নতুন ব্যায়াম করছেন বা খেলাধুলা করছেন, তাঁদের এই ঝুঁকি বেশি। গোড়ালি মচকে যাওয়ার ঘটনাই বেশি ঘটে, এ ছাড়া হাঁটু বা কনুইতেও আঘাত লাগতে পারে। পেশি বা লিগামেন্টের আঘাত বা মচকে যাওয়া এড়াতে কিছু বিষয়ে সাবধানতা দরকার। —সবারই নিয়মিত স্ট্রেচিং ও পেশিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম ঘরে বা বাইরে করা উচিত। নিয়মিত ব্যায়াম সন্ধি ও সংলগ্ন কলাগুলোকে সুস্থ রাখবে। ব্যায়ামের অভাবে সন্ধি ও পেশির নমনীয়তা ধীরে কমে যায়, এর ফলে বয়স হলে আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। —ব্যায়াম করা বা হাঁটতে যাওয়ার সময় অবশ্যই সঠিক জুতা পরবেন। অনেকে আঘাত এড়াতে হাঁটুতে বা গোড়ালিতে ব্যান্ড পরেন। এটা সাময়িক ও খানিকটা প্রতিরোধ দেবে। —ব্যায়াম বা হাঁটার আগে ৫ থেকে ১০ মিনিট ওয়ার্মআপ করে নেবেন। যেমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে হাত-পা নড়াচড়া করে বা জগিং করে পেশি ও সন্ধিকে ব্যায়ামের জন্য প্রস্তুত করবেন। এতে ইনজুরির আশঙ্কা কমে। —হঠাৎ মচকে গেলে বা আঘাত পেলে ব্যায়াম বন্ধ করুন। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা ওই সন্ধিকে বিশ্রাম দিন। এই সময়টুকু প্রতি ২০-৩০ মিনিট অন্তর বরফ তোয়ালেতে পেঁচিয়ে সেঁক দিন। সাপোর্ট ব্যবহার করুন। কমপ্রেশন বা ইলাস্টিক ব্যান্ডেজ দিয়ে শক্ত করে বাঁধা যায়। ব্যথা ও ফোলা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে পারেন। ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ সূর্যের আলো এড়িয়ে চললে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে? সুইডেনে ৩০ হাজার নারীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় জানা গেছে, সূর্যের আলো এড়িয়ে চলা ধূমপানের ক্ষতির সমান। তবে রোদে দীর্ঘ সময় কাটানো ব্যক্তিরাও পড়তে পারেন ক্যানসারের ঝুঁকিতে। ‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয় প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন: শিশুদের কানপাকা রোগ কি জটিল আকার ধারণ করতে পারে? উত্তর: ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া কানে সংক্রমণ বা কানপাকা রোগের জন্য দায়ী। চিকিৎসা না করা হলে এই জীবাণু মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে গিয়ে এনকাফালাইটিস জাতীয় মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই এর চিকিৎসা প্রয়োজন। ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী শিশুরোগ বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ