যাত্রাবাড়ীতে নারীকে কুপিয়ে হত্যা

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ওই বাসা থেকে দুই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর শিল্পীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পারুলকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থাও আশংকাজনক। দুই নারীর পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে এবং সারা শরীরে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে।

পুলিশ বলছে, শুক্রবার দনিয়ার রসুলপুরের ৭৩ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল দুই নারী। তাদের সঙ্গে একজন পুরুষ সদস্যও ছিলেন। ওই পুরুষ সদস্য শিল্পীর স্বামী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। দুই নারী সম্পর্কে ননদ-ভাবী বলে বাড়িওয়ালাকে জানিয়েছিলেন।

ওই বাড়ির মালিকের নাম মাহতাব উদ্দিন। দুই নারীর সঙ্গে আসা ওই ব্যক্তি ঘটনার পর থেকে পলাতক। ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত কিনা এ বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বাড়িওয়ালার বরাত দিয়ে পুলিশের এক এসআই যুগান্তরকে বলেন, দুই নারীর সঙ্গে আসা পুরুষ সদস্য বাড়িওয়ালাকে বলেছিলেন, তিনি যাত্রাবাড়ীর মাছের আড়তে কাজ করেন। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে। তবে তিনি বিস্তারিত পরিচয় জানেন না।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ফরিদউদ্দিন আহমেদ শনিবার রাত ১টার দিকে যুগান্তরকে বলেন, প্রাথমিকভাবে দুই নারীর নাম পাওয়া গেছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তারা কেন ওই বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন এবং কারা তাদের হত্যা করেছে এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ চলছে।

যাত্রাবাড়ী থানার এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থল থেকে যুগান্তরে জানান, শনিবার রাত ১০টার দিকে বাসার ভেতর থেকে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ আসার পর ফ্ল্যাটের অন্য বাসিন্দারা জড়ো হন। এর আগেই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

দু’জনের শরীরে কোপের চিহ্ন আছে। তাদের কুপিয়ে ওই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের শনাক্ত করে ধরার চেষ্টা চলছে।