টিলার ওপর মাঠ, সেখানেই চোখজুড়ানো স্মৃতিসৌধ! এ দৃশ্য উপভোগে ঘুরে আসতে পারেন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাঁশতলা গ্রামে। শুধু স্মৃতিসৌধ নয়, এখানে আছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধার সমাধি। মেঘালয়ের কোলে থাকা বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ এক কথায় অসাধারণ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, পাহাড়ের বুক চিরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতিসৌধ। সিলেট, সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ৫ নম্বর সেক্টরের সাবসেক্টর ছিল বাঁশতলা। পাহাড়বেষ্টিত এ এলাকা ও আশপাশে মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা শহীদ হন, তাঁদের সমাহিত করা হয় বাঁশতলায়। সেই স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য নির্মাণ করা হয় বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিসৌধে পৌঁছানোর আগেই পাহাড় থেকে নেমে আসা চেলাই খালের ওপর নির্মিত স্লুইসগেটের পানির স্রোত পাহাড়ি ঝরনাধারার রূপ দেখাবে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল ও আর দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ দেখতে এখন অনেকেই বাঁশতলায় বেড়াতে আসেন। ছবিগুলো সম্প্রতি তুলেছেন আলোকচিত্রী আনিস মাহমুদ। এই সড়ক দিয়ে যেতে হবে বাঁশতলা। পাহাড়ের গায়ে সাদা মেঘের ভেলা আর সবুজ-শ্যামল ফসলি মাঠ নজর কাড়বে যে কারও। যেন পাহাড়ের বুক চিরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতিসৌধ। স্মৃতিসৌধের ডান পাশে নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হকের ম্যুরাল। বাঁশতলা থেকে দূর পাহাড়ের গায়ে দেখা মিলবে ঝরনাধারার। বাঁশতলা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল। এখানেই সমাহিত করা হয় ১৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। সেখানে রয়েছে বেড়াতে আসা লোকজনের বিশ্রাম নেওয়ার স্থান। সেই পানির স্রোতে গা ভাসিয়ে নিচ্ছেন একজন।