কি শিরোনাম দেখে চমকে গেলেন? ভাবছেন কেমন করে সম্ভব যে শহরের সকল মানুষই মৃত? হ্যাঁ সত্যি। শহরটি দুই হাজার আটশ’ বছর আগের। এই শহরটিতে ছয় হাজারেরও বেশি মানুষের সমাধি কক্ষ রয়েছে। যে গুলো এত বছর পরেও অক্ষত রয়েছে। চলুন সেই আজব শহর সম্পর্কে জানি।
এই অদ্ভুত শহরটি মধ্য ইতালির টাস্কানিতে। দুই হাজার আটশ’ বছর আগে টাস্কানিতে বসতি স্থাপন করেছিলেন ইট্রাস্কানরা তাদের নামেই এলাকাটির নাম টাস্কানি। ছোট ছোট টিলার ওপর শহর তৈরি করতেন ইট্রাস্কানরা।
রোমানরা টাস্কানিদের থেকেই বর্ণ ও চিত্রাঙ্কনের উপসর্গ পেয়েছে। শহরটিতে খ্রিস্ট জন্মের ৫শ বছরের পূর্বের কবর রয়েছে যা এখনও অক্ষত। শহরের প্রধান বৈশিষ্ট হলো। এখানে পুরাতন দালান কোটাগুলো সেই পুরনো যুগের কথা স্বরণ করে দেয়।
এই শহরের মূল আকর্ষনটি হলো টারকিনিয়ার মন্ত্রেরৎসি নিক্রোপসি এলাকায় এখানে টাস্কানি যুগের ছয় হাজারের অধিক কবর রয়েছে। যে কবরগুলো বসত ঘরের এক একটি কক্ষের মত। যেগুলো এখনো অক্ষত রয়েছে।
শহরের পাশেই নিভে যাওয়া আগ্নিয়গিরী রয়েছে। যা একবার দেখলেই সবার মন কেড়ে নেয়। সবুজ ও লাল রঙের এই শহরটি যে কোন ভ্রমণ প্রেমীদের জন্যই আদর্শ। মানবসভ্যতার এই প্রাচীন ও জীবন্ত শহরটি ২০০৪ সালে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় স্থান পেয়েছে। শহরটি যে কোন পর্যটকদের জন্যই নিরাপদ।
দেশটির প্রন্ততত্ববিদ ফ্রাঞ্চেস্কো আলিপের্তি বলেছেন, রোমানদের আগে ইতালিতে যেসব জাতির বসবাস ছিলো টাস্কানিরা তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি আরও বলেছেন, রোমানরা বর্ণমালা থেকে নির্মাণ পদ্ধতি অবধি অনেক কিছুই তাদের থেকে পেয়েছে। যা পরবর্তীতে তার বিকাশ ঘটিয়েছে।
সূত্র: ডয়েচ ভেলে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.