১৯৯১ সালের ২রা অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল এহতেশাম পরিচালিত নতুন জুটির চলচ্চিত্র ‘চাঁদনী’। চলচ্চিত্রটির গান, নির্মাণশৈলী এবং নতুন জুটি নাঈম-শাবনাজের অনবদ্য অভিনয় সেই সময়ে দর্শকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। নাঈম এবং শাবনাজের অভিষেকের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্রে জুটি প্রথার নতুন এক ধারা শুরু হয়। সেসূত্রে তারা দু’জন অনেক চলচ্চিত্রেই দর্শকের চাহিদার কারণে একসঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেন। দেখতে দেখতে নাঈম-শাবনাজ অভিনীত চলচ্চিত্র ‘চাঁদনী’ ২৫ বছর অর্থাৎ রজতজয়ন্তীতে পা রেখেছে গত ২রা অক্টোবর। নিজেদের জীবনের প্রথম চলচ্চিত্রের রজতজয়ন্তী উপলক্ষে নাঈম-শাবনাজ এবং ‘চাঁদনী’ পরিবার এবার একটি ভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আর তা হচ্ছে ‘চাঁদনী’র সঙ্গে জড়িত শিল্পী-কুশলীদের নিয়ে শিগগিরই একটি গেট-টুগেদার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাঈম ও শাবনাজ। এদিকে আজ বিবাহিত জীবনের ২৩ বছরে পা রাখছেন এ দম্পতি। ১৯৯৪ সালের ৫ই অক্টোবর তারা দুজন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। চিত্রনায়ক নাঈম বলেন, দেখতে দেখতে আমাদের ‘চাঁদনী’ মুক্তির ২৫ বছর হয়ে গেছে। চলচ্চিত্রটির নির্মাতা আমাদের গুরু এহতেশাম সাহেব আজ নেই। কিন্তু আমরা দু’জনই তাকে প্রতিনিয়ত অনুভব করি। সত্যি বলতে কী বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তার যে অবদান তা এড়িয়ে যাওয়ার বা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। চাঁদনীর রজতজয়ন্তীতে তাই এর পরিবার গেট-টুগেদার অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। আশা করি এই চলচ্চিত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকেই নির্ধারিত সময়ে কাছে পাবো, পুরোনো দিনের আড্ডায় মেতে উঠবো। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। শাবনাজ বলেন, আজ আমাদের বিবাহবার্ষিকী। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমরা সবসময় ভালো থাকি, সুস্থ থাকি। আর চাঁদনী’র রজতজয়ন্তীতে আমরা ‘চাঁদনী’ পরিবার একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি তা ভালোভাবেই সম্পন্ন করবো। এদিকে নাঈম-শাবনাজ ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা ‘চাঁদনী’র রিমেক করবেন সময়ানুযায়ী গল্প কিছুটা পরিবর্তন পরিবর্ধন করে। সেই কাজও এগিয়ে চলছে। সময় হলেই সবাইকে জানান দেবেন তারা। নব্বইয়ের দশকের সেরা জুটি হিসেবে ১৯৯১ সালের ২রা অক্টোবর এহতেশাম পরিচালিত নাঈম-শাবনাজের ‘চাঁদনী’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়। ঢাকাই চলচ্চিত্রে এই জুটির অভিষেকের মধ্যদিয়ে আরেক রোমান্টিক জুটির সফল যাত্রা শুরু হয়। এরপর একে একে এই জুটি দর্শককে উপহার দেন ‘দিল’, ‘সোনিয়া’, ‘চোখে চোখে’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘অনুতপ্ত’ ,‘টাকার অহংকার’, ‘সাক্ষাৎ’, ‘জিদ’সহ আরো বেশকিছু চলচ্চিত্র। সর্বশেষ তারা দু’জন ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রে জুটি হয়ে অভিনয় করেছিলেন। নাঈম সর্বশেষ ‘মেয়েরাও মাস্তান’ এবং শাবনাজ সর্বশেষ আজিজুর রহমানের ‘ডাক্তার বাড়ি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এরপর নাঈম-শাবনাজ জুটিকে আর চলচ্চিত্রে অভিনয়ে দেখা যায়নি।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.