কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটি শহরের কমপক্ষে পাঁচটি এলাকার এক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্র জানায়, হ্রদের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিন ফুট বেশি উচ্চতায় রয়েছে। হ্রদে পানির উচ্চতা বর্তমানে ১০৬ দশমিক ৩ ফুট এমএসএল (মিন সি লেবেল) থাকার কথা। কিন্তু রয়েছে ১০৮ দশমিক ৮৭ ফুট এমএসএল। কাপ্তাই হ্রদের সর্বোচ্চ পানির উচ্চতা থাকে ৩০ অক্টোবর ১০৯ ফুট এমএসএল। হ্রদে পানির উচ্চতা স্বাভাবিক রাখতে বাঁধের স্পিলওয়ে (পানি নির্গমনের পথ) এক ফুট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৮ হাজার কিউবিক ফুট পানি নির্গমন হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, রাঙামাটি শহরের ভেদভেদি আনসার ক্যাম্প থেকে আলুটিলা উলুছড়ি গ্রামের ২২০ ফুট দীর্ঘ সংযোগ কাঠের সেতুটির পাটাতন প্রায় এক ফুট পানির নিচে ডুবে গেছে। ওই গ্রামে দুই শতাধিক পরিবারের বসবাস। একইভাবে বনবিহার এলাকার সঙ্গে বিহারপুর উরিঙভিদে এলাকার সংযোগের কাঠের সেতুটির পাটাতনও পানির নিচে চলে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই এলাকায় তিন শতাধিক পরিবারের বসবাস। স্থানীয় লোকজন বলেন, আগের বছরগুলোতে এভাবে পানি বাড়েনি। এ ছাড়া রাঙাপানি এলাকার লুম্বিনী, ব্রানটিলা ও বাস টার্মিনাল এলাকার নতুনপাড়া সড়কের নিচু অংশ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ওই তিন এলাকায় পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসবাস। রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী জানান, কত মানুষ পানিবন্দী হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তার তালিকা করা সম্ভব হয়নি। তবে পানি ছাড়ার ব্যাপারে পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হবে। কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. আবদুর রহমান জানান, গত সোমবার দুপুর ১২টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৭টা পর্যন্ত বাঁধের স্পিলওয়ের ৬ ইঞ্চি খোলা ছিল। তারপরও পানি বাড়ার কারণে আবার সকাল সোয়া সাতটা থেকে স্পিলওয়ে এক ফুট খুলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, পানির উচ্চতা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.