প্যারিসের হোটেলে মার্কিন রিয়েলিটি শো তারকা কিম কারদাশিয়ানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির বিষয়টি নিয়ে সারা বিশ্বে তোলপাড় চলছে। কারণ, এমন ঘটনা অতীতে কোনো তারকার সঙ্গে ঘটেনি। রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় হয়ে যাওয়া এ ডাকাতির ঘটনার বিষয়টি নিয়ে নানা রকম জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা চলছে। তবে অনেকেই বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অতি ব্যবহারই এমন বিপদ ডেকে এনেছে কিমের জীবনে। টুইটার, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে নিজের অবস্থানও জানাতেন কিম। পাশাপাশি যখনই কোনো কিছু কিনতেন অথবা উপহার পেতেন তার আপডেটও দিতেন তিনি। যার ফলে তার এসব বিষয় সম্পর্কে অবগত ফলোয়াররা। এসবের মাধ্যমে তিনি নিজেই নিজের জন্য ফাঁদ তৈরি করেছেন বলে মন্তব্য নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের। এদিকে নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকার কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দৃশ্যমান তারকা মনে করা হয় কিমকে। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারী ৮ কোটি ৪০ লাখ। টুইটারে সংখ্যাটা ৪ কোটি ৮০ লাখ। তারা প্রতিদিনই কিমের সবকিছুর বিবরণ জানতে পারেন এসব মাধ্যমে। অকপটে সব জানিয়ে দিয়েই প্যারিসে নিজেকে তিনি অরক্ষিত করেছেন বলে দাবি অনেকের। এ কারণেই এ রকম ঘটনা ঘটতে পারে বলেও মত দিয়েছেন তারা। ডাকাতির এক ঘণ্টা আগে গোসলের পর সাদা পোশাকে একটি স্ন্যাপচ্যাট ভিডিও পোস্ট করেছিলেন কিম। এতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ২০১৩ সালে কানইয়ে ওয়েস্টের দেয়া ১৫ ক্যারেট হীরা দিয়ে বানানো বাগদানের আংটি পরে আছেন তিনি। ক’দিন আগে ইনস্টাগ্রামেই তিনি জানান, আংটিটির মূল্য ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকে কিম-কানইয়ে দম্পতির দেহরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা স্টিভ স্ট্যানালিস মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্ন্যাপচ্যাটই তার এমন সর্বনাশের কারণ। ফ্যাশন শোতে যাওয়ার কথা জানানো, হীরা ব্যবহারের সেলফি পোস্ট করা, স্ন্যাপচ্যাটে পরিবারের সঙ্গে আলাপ তুলে ধরা- সব মিলিয়ে প্যারিসে অবস্থানের প্রতিটি দিনের যাবতীয় তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়েছেন কিম। বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে ডাকাতদলের হাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগ পর্যন্ত এসব চলছিল। এ ঘটনায় তার ৮ কোটি ৭০ লাখ পাউন মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার লুট হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.