পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসনি দালান থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া।প্রথমে গেটে দেহ তল্লাশি করা হবে। এছাড়া মিছিলের মাঝে ও ইমাম বাড়ায় ঢোকার সময়েও তল্লাশি করা হবে। যেসব এলাকা দিয়ে তাজিয়া মিছিল যাবে ওইসব এলাকার প্রতিটি গলির মুখেও থাকবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আর্চওয়ে দ্বারা পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হবে বৃহস্পতিবার ৬ অক্টোবর ২০১৬ বেলা সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসনী দালানে মহররমের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, হোসনি দালানের ইমাম বাড়াসহ যেসব স্থান থেকে তাজিয়া মিছিল বের হবে সেগুলোর জন্য সুদৃঢ়, নিরবিচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চাংখারপুলে, হোসনী দালানের মূল ফটকে ও ভেতরে, এই তিন স্থানেই তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ম্যাটাল ডিটেক্টর থাকবে। আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে সবাইকে প্রবেশ করতে হবে। কেউ কোনো ধরণের ধারালো অস্ত্র কিংবা পোটলা(ছোট ব্যাগ) বহন করতে পারবেন না। এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা হোসনী দালান ঈমাম বাড়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।আশুরায় বের করা তাজিয়া মিছিলে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার নিশান ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া মিছিলে ছুরি, কাঁচি ও কোনো ধরনের ব্যাগও বহন করা যাবে না
গত বছর আশুরায় তাজিয়া মিছিল করার সময় হোসেনী দালানে বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে হামলার সঙ্গে নব্য জেএমবির সদস্যদের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ।
এ সময় নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার নিরাপত্তা জোরদার করার স্বার্থে তাজিয়া মিছিল ও শারদীয় দূর্গাপূজায় পটকা বা আতশবাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে এবার পুরো হোসনী দালান এলাকা সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রত্যেকটি ভেন্যুতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রাখবেন। থাকবে ডগ স্কয়াড। গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে থাকবে সার্বক্ষনিক এম্বুলেন্স ও ফায়ার টেন্ডার।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার তিনি আরও বলেন, হোসনী দালান কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বাইরের কেউ মিছিলে আসতে পারবে না। যেসব এলাকাতে মিছিল হবে সেসব এলাকায় আগে থেকে পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ও অবস্থান নেবে। ১০ই মহররম ধানমন্ডিস্থ অস্থায়ী কারবালায় যাবেন ধর্মপ্রাণ শিয়া মুসলমানগণ। সেখানে যাতে অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে সেজন্য সেখানেও নেয়া হয়েছে নিরচ্ছিন্ন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকল ধর্মের মানুষ যাতে তাদের স্ব স্ব ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারেন সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বদ্ধ পরিকর।
এ সময় ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান ও মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.