নারীদের নিয়ে ডনাল্ড ট্রাম্পের অশ্লীল ও নোংরা মন্তব্যের ভিডিও প্রকাশ হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে নজিরবিহীন বিতর্ক। বিতর্কের জেরে ক্ষমা চেয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাংবাদিক ম্যাগি হ্যাবারম্যানের মতে, একে ‘ক্ষমা প্রার্থনা’ না বলাই ভালো। ওয়াশিংটন পোস্ট ওই ভিডিও প্রচারের পর প্রথম দিকে এসব বিস্ফোরক মন্তব্যকে ‘লকার রুমের তামাশা’ বৈ কিছু নয় বলে উড়িয়ে দেন ট্রাম্প। তবে প্রচণ্ড বিতর্কের মুখে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে একটি ছোট ভিডিও প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কিন্তু তিনি দাবি করেছেন, দেশ যেসব সমস্যার মুখোমুখি, তা থেকে দৃষ্টি সরাতেই এসব রেকর্ড সামনে আনা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বিল ক্লিনটন (সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনের স্বামী) আরো বড় ধরনের নারী নিপীড়নকারী। তার বক্তব্য হুবহু প্রকাশ করেছে দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। তা মানবজমিনের পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো। ‘আমি কখনই বলিনি আমি একজন নিষ্কলুষ ব্যক্তি। আমি কখনই এমন লোক হওয়ার ভান করিনি, যা আসলে আমি নই। আমি এমন কিছু বলেছি বা করেছি, যা নিয়ে আমি আফসোস করি। এর মধ্যে রয়েছে আজ প্রচারিত এক দশকেরও আগের একটি ভিডিওতে আমার করা মন্তব্য। যারা আমাকে চেনেন, তারা জানেন এসব বক্তব্য আমার পরিচায়ক নয়। আমি এসব বলেছি। আমি ভুল করেছি। আমি ক্ষমা চাই। আমি দেশজুড়ে ঘুরেছি। আমেরিকার পরিবর্তনের কথা বলেছি। আমার এসব ভ্রমণ আমাকে পাল্টে দিয়েছে। আমি শোকাহত মায়েদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি যারা তাদের সন্তান হারিয়েছে। কথা বলেছি চাকরিহারা শ্রমিকদের সঙ্গে যাদের চাকরি অন্য দেশে চলে গেছে। কথা বলেছি সব ধরনের মানুষের সঙ্গে যারা একটি ভালো ভবিষ্যৎ চান। আমি আমাদের দেশের এই মহান মানুষদের সম্পর্কে জানতে পেরেছি। তারা আমার ওপর বিশ্বাস অর্পণ করে আমাকে সম্মানিত করেছেন। আমি আগামীতে আরো ভালো একজন মানুষ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমি কখনই আপনাদের হতাশ করবো না। আসুন সৎ কথা বলি। আমরা সত্যিকার দুনিয়ায় বাস করি। আমাদের দেশ আজ যেসব গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর সম্মুখীন, তার থেকে মানুষের নজর সরানোই এসবের উদ্দেশ্য। আমরা আমাদের চাকরি হারাচ্ছি। ৮ বছর আগে যেমন ছিলাম, তার চেয়ে কম নিরাপদ আমরা। এবং ওয়াশিংটন সম্পূর্ণ অকার্যকর। হিলারি ক্লিনটন ও তার মতো মানুষ আমাদের দেশকে গহ্বরে নিয়ে এসেছে। আমি নির্বোধের মতো কিছু কথা বলেছি। কিন্তু কারও মুখের কথা আর করার মধ্যে অনেক পার্থক্য। বিল ক্লিনটন আসলে নারীদের নিপীড়ন করেছেন। তার হাতে নির্যাতিতাদের আক্রমণ করেছেন হিলারি। আমরা এসব নিয়ে সামনের দিনগুলোতে আরো আলোচনা করবো। রবিবারের বিতর্কে আপনার অপেক্ষায়।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.