১৯৯৬ সালের গল্প। খুব সাদামাটা এতিম একটা মেয়ে, যে কিনা প্রচণ্ড আর্থিক কষ্টের মধ্য দিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। এর সঙ্গে সে একটা প্যাথলজিতে কাজ করে। তার জীবনে একবার প্রেমও আসে। কিন্তু সে তাকে বলতে পারে না। এমনই একটি কাহিনীর ছবিতে মেয়ের চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। ছবিটির নাম ‘আলগা নোঙর’। যার কাজ ইতিমধ্যে শেষ। খুব শিগগিরই এটি মুক্তি পাবে। নওশাবা এ ছবিটি নিয়ে বলেন, মজার ব্যাপার হলো, এখানে দর্শক আমার চরিত্রের নাম ছবির শেষের দিকে গিয়ে জানতে পারবে। এ কারণেই আমিও এখন নামটি প্রকাশ করছি না। দুমাস কাজ করেছি আমরা। বলতে গেলে একটা ভালো টিমওয়ার্ক ছিল। সেই কাজের ফলাফলটা যেন মানুষকে ছুঁয়ে যেতে পারে এটাই এখন চাওয়া। নওশাবা আরও জানান, শুধু প্রেমের গল্প নয় ‘আলগা নোঙর’ ছবিটি। এ ছবিতে একটি শহরের কিছু মানুষের স্বপ্নও দেখানো হয়েছে। নওশাবা আরও বলেন, প্রতিনিয়ত আমরা অনেক কিছু নিয়ে ভাবি, স্বপ্ন দেখি, আবার কখনো আমাদের ভাবনায় ছেদ পড়ে, এসব নিয়েই ‘আলগা নোঙর’। মোট কথা এটা আসলে আমাদের নিয়তির গল্প। এদিকে সমপ্রতি ফাঁস হয়ে গেছে এ ছবির ট্রেইলার। যা প্রস্তুতি শেষ হওয়ার আগে অসম্পূর্ণ অবস্থায়ই প্রকাশ হয়ে গেল। ১২ই সেপ্টেম্বর সেটি ইউটিউবে আপলোড করেছে কেউ। ওয়াহিদ তারেকের গল্পে ‘আলগা নোঙর’ ছবির চিত্রনাট্য লিখেছেন আবদুল্লাহ মুহাম্মদ সাদ। পরিচালনা করেছেন ওয়াহিদ তারেক। নওশাবা এরইমধ্যে কিছু ছবিতে অভিনয় করছেন। তার অভিনীত প্রথম ছবি ‘উধাও’। অন্যান্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘চন্দ্রাবতীর কথা’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘ভুবন মাঝি’ এবং ‘প্রতিরুদ্ধ’। আগামী বছরে ছবিগুলো মুক্তি পাবে। ছোট কিংবা বড় পর্দা- দুই ক্ষেত্রেই সবসময় কাজে ডুবে থাকতে পছন্দ করেন নওশাবা। তবে নিজেকে সময় দেয়ার ব্যাপারেও যথেষ্ট সচেতন তিনি। তার মতে, ডজনখানেক কাজ নয়, বরং অল্প কিছু কাজ হোক। কিন্তু তা গ্রহণযোগ্য হতে হবে। চরিত্রের প্রয়োজনে কতকিছুই তো করতে হয়। ‘আলগা নোঙর’ ছবিতে আমাকে যে চরিত্রে দেখা যাবে, সেটার জন্য প্রয়োজন ছিল রুগ্ণ, অপুষ্ট ভাব ফুটিয়ে তোলা। এ কারণে ঝকমকে, সতেজ ভাব বর্জনীয় ছিল। এভাবে অন্যান্য ছবিতেও চরিত্রের প্রয়োজনে আমাকে বিভিন রূপে দর্শক দেখতে পাবেন। এন রাশেদ চৌধুরীর পরিচালনায় ‘চন্দ্রাবতীর কথা’ হলো ‘ময়মনসিংহ গীতিকা’ অবলম্বনে নির্মিত। এখানে ‘সোনাই’ চরিত্রে অভিনয় করেছি। সবচেয়ে ভালো লাগছে, এর আগে কখনো এমন বিষয় নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়নি। এদিকে অচিরেই ইউরোপের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে দেখা যাবে নওশাবাকে। ইউরোক্রস গ্রুপ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে তিনটি বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে হাজির হচ্ছেন তিনি। বিজ্ঞাপনগুলো হচ্ছে ‘ভেজিটেবল বে অব বেঙ্গল’, ‘অনলাইন গ্রোসারি শপিং’ এবং ‘বে অব বেঙ্গল ফিশ’। অন্যদিকে দেশের টিভি মাধ্যমে ‘মিলার বারান্দা’, ‘ওয়ান ওয়ে’, ‘মন ছুঁয়েছে মন’সহ বেশকিছু ধারাবাহিক নাটকে তিনি নিয়মিত কাজ করছেন। সামনে মানিক মানবিকের পরিচালনায় একটি খণ্ড নাটকেও কাজ করবেন বলে জানালেন এ অভিনেত্রী। এছাড়াও একটি নতুন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা রয়েছে তার। এটি একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। ১০ থেকে ১১ মিনিট ব্যাপ্তির। নাম ‘বৃত্তে বিষবৃক্ষ’। রচনা ও পরিচালনা করছেন শ্যামল শিশির। চলচ্চিত্রটিতে নওশাবা অভিনয় করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে। এটি নিয়ে তিনি বলেন, চিত্রনাট্য পড়ে আমার ভালো লেগেছে। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া একজন মেয়ের নানা ধরনের যুদ্ধ নিয়ে এগিয়েছে গল্প।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.