মরুভূমিতে নির্মিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সেরা প্রকৃতি বান্ধব রিসোর্ট! অসম্ভব মনে হলেও বিশ্বের সবেচেয়ে সবুজ প্রকৃতি বান্ধব অবাকাশ যাপন কেন্দ্র ‘দি ওয়েসিস ইকো রিসোর্ট’-এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২০ সালের মধ্যে। এটি হবে সূর্য-স্নাত মরুভূমিতে বসন্তের পরশ।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দক্ষিণাঞ্চলের ইওয়া অঞ্চলে নির্মিত হতে যাচ্ছে এ রিসোর্টটি। ছুটি কাটানোর আদর্শ অবাকাশ যাপন কেন্দ্র তৈরী করতে রিসোর্টটিতে ফসল ও মাছ চাষ, বিনোদনমূলক কার্যক্রম ও বন্যপ্রাণির জন্য একটি প্রাকৃতিক আবাসস্থল অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
পানির উৎস হিসেবে থাকবে ভূগর্ভস্থ একটি জলাধার। এছাড়া প্রতিটি ছাদকে সৌর প্যানেলের আবরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে শক্তি উৎপাদনের জন্য। রিসোর্টের ৮৪টি মনোরম সুইট থেকে দিন ও রাতের আকাশ, বালিয়াড়ি, বসন্তের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখা যাবে। ইতোমধ্যে এর নকশা ও পরিকল্পণা চুড়ান্ত করা হয়েছে। এটি হবে মরূভূমির মধ্যে একটি অত্যাধুনিক-অত্যাশ্চর্য মরুদ্যান। দি ওয়েসিস ইকো রিসোর্ট নির্মানে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহারাশ আর্কিটেকচারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০২০ সালের মধ্যেই রিসোর্টটি পূর্ণাঙ্গতা পাবে। যা সূর্য-স্নাত মরুভূমিতে বসন্তের পরশ নিয়ে আসবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দক্ষিণাঞ্চলের ইওয়া অঞ্চলে স্থাপিত হবে ফসল চাষ, মাছ চাষ, বিনোদনমূলক কার্যক্রম, এবং বন্যপ্রাণির জন্য একটি প্রাকৃতিক আবাসস্থল সম্বলিত নয়নাভিরাম সবুজ অবকাশ যাপন কেন্দ্র। রিসোর্টের প্রতিনিধিরা বলছেন, রিসোর্টে ৮৪টি মনোরম সুইট থাকছে। যা থেকে পর্যটকেরা দিন ও রাতের আলোকিত আকাশ, চারপাশে বালিয়াড়ি, বসন্তের নয়ানাভিরাম দৃশ্য দেখতে পাবেন। সেই সঙ্গে সেখানে একটি শরীরচর্চা কেন্দ্রও থাকবে। অবকাশ ভবনের উচ্চতা অত্যন্ত কম হবে। কারণ, যতদূর সম্ভব অত্যাশ্চর্য বালিয়াড়ির দিগন্ত দেখা যাবে। যা মাইলের পর মাইল বিস্তৃত। সেখানে পানির উৎস হিসাবে ভূগর্ভস্থ একটি জলাধার নির্মান করা হবে। নির্দিষ্ট সবুজ উপাদান জন্মানোর জন্য বেস গঠন করা হবে। ফসলের জন্য সেচের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া প্রত্যেক ছাদকে সৌর প্যানেলের আবরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে শক্তি উৎপাদনের জন্য।
রিসোর্টের ৮৪ টি মনোরম সুইট থেকে দিন ও রাতের আকাশ, বালিয়াড়ি, বসন্তের মনোরম দৃশ্য চোখে পড়বে। ওয়েসিস ইকো রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মী নিয়োগ করবে যারা স্থানীয় বন্যপ্রাণী নিয়ে গবেষণা করবেন। বাহারাশ আর্কিটেকচার একটি দুবাইভিত্তিক ইকো রিসোর্ট গ্রুপ। যারা এ রিসোর্টের নকশা প্রস্তুত করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে সবুজ রিসোর্টটি নির্মানের দায়িত্বও তারা পেয়েছে। বাহারাশ আর্কিটেকচারের প্রতিষ্ঠাতা ও ডিজাইনার বাহারাশ বাহারাইন বলেন, এটিই এখন সবচেয়ে টেকসই প্রকল্প আমাদের কাছে।’ তিনি বলেন, অনিয়ন্ত্রিত প্রচলিত পর্যটনের কারণে পরিবেশের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে। যা প্রাকৃতিক এলাকায় ক্ষতি ঘটায়, এলাকায় দূষণ ঘটায়, ভূমিক্ষয়, প্রাকৃতিক আবাসস্থল ও বিপন্ন প্রজাতির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
কর্তৃপক্ষ বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞানী এবং জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মী নিয়োগ করবে যারা স্থানীয় বন্যপ্রাণি নিয়ে গবেষণা করবেন এবং ব্যবস্থানায় নিয়োজিত থাকবেন। তিনি আরো বলেন, এটি সুপেয় পানি সম্পদের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এবং এসব সম্পদ ব্যবহার ও নিঃশেষ করা জন্য স্থানীয় জনসাধারণ অসম প্রতিযোগিতা লিপ্ত হয়। এ মরুদ্যান ইকো রিসোর্ট শিক্ষামূলক প্রকল্প ও অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে পরিবেশগত মান সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। এছাড়াও প্রাকৃতিক এলাকা রক্ষা ও তার অর্থনৈতিক গুরুত্ব বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রেও এটি হাতিয়ার হিসেবে পরিবেশন করা হবে। পরিশেষে, এ ইকো রিসোর্ট হবে সবার জন্য একটি সবুজ গন্তব্য। যা এ অঞ্চলের জন্য সাংস্কৃতিক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক সুবিধা সৃষ্টি করবে এবং পর্যটকদের অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি দারুন মাধ্যম হবে।
দি ওয়েসিস ইকো রিসোর্ট নির্মানের দায়িত্ব পেয়েছে বাহারাশ আর্কিটেকচার । আগামী ২০২০ সালের মধ্যেই রিসোর্টটি পূর্ণাঙ্গতা পাবে। যা সূর্য-স্নাত মরুভূমিতে বসন্তের পরশ নিয়ে আসবে।
আগামী ২০২০ সালের মধ্যেই রিসোর্টটি পূর্ণাঙ্গতা পাবে। অবকাশ ভবনের উচ্চতা অত্যন্ত কম হবে যাতে যতদূর সম্ভব অত্যাশ্চর্য বালিয়াড়ির দিগন্ত দেখা যায়।
পৃথিবীর সবচেয়ে সবুজ অবকাশযাপন কেন্দ্র। যেটি নির্মাণ করছে দুবাই ভিত্তিক বাহারাশ আর্কিটেকচার।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.