প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদের কেউ রেহাই পাবেনা। সকালে গণভবনে শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ৭৫ পরবর্তী সরকাররা সাধারণ মানুষের ওপর বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। মানুষ খুন করা বিএনপি-জামায়াতের ধর্ম। এসময় প্রধানমন্ত্রী , শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দেন। বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার।
১২ অক্টোবর শ্রমিক লীগের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে সংগঠনটি। প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ও বিদেশে উভয় ক্ষেত্রে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই কাজ করে যাচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, ৭৫ পরবর্তী সরকাররা মেহনতি মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষাই কেবল না, বরং বিদেশেও যারা যাচ্ছে আমরা সেখানেও পদক্ষেপ নিচ্ছি। যারা সংগ্রাম করে, যুদ্ধ করে, বিজয় অর্জন করে যাদের নেতৃত্বে তারা যখন সরকারে থাকে তখনই দেশের উন্নতি হয়। উড়ে এসে যারা জুড়ে বসে, অবৈধভাবে যারা ক্ষমতা দখল করে আর রাতারাতি ক্ষমতা নিয়েই বলবে, আজকে আমি প্রেসিডেন্ট হলাম তারা দেশের উন্নতি করে না। ৭৫ এ জাতীর পিতাকে হত্যার পর আমরা সেই খেলাই দেখেছি ২১ বছর পর্যন্ত।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদের কেউ রেহাই পাবেনা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকালে গণভবনে শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ পরবর্তী সরকাররা সাধারণ মানুষের ওপর বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। মানুষ খুন করা বিএনপি-জামায়াতের ধর্ম। এসময় প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দেন।
সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া যদ্ধাপরাধিদের বাচতে যারা মানুষ হত্যা করেছে তাদেরও বিচার হবে বলে হুশিয়ারি দেন শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি দেখি যে, তারা বক্তৃতায় বলে আমাদের বিরুদ্ধ মিথ্যা মামলা দিয়েছে। কোনটা মিথ্যা মামলা? প্রমাণ করেন। মামলা মিথ্যা না সত্য সেটা কোর্টে গেলেই বোঝা যাবে। মামলা কনটেস্ট করতে চান না, কোর্টেই যেতে চান না। কোর্ট থেকে পালান। চোরের মন পুলিশ পুলিশ, যেটা বলে সেটাই। আর যদি সাহস থাকতো, বুকে বল থাকতো যে ‘না’ আমি এ অন্যায় করি নাই তাহলে নিশ্চয় যেতো। আমার বিরুদ্ধ যখন মামলা দিলো ২০০৭ সালের তত্বাবধায়ক সরকার তখন আমি বললাম যে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, আমি আসবো, যাবো, কোর্টে যাবো। তখন ওরাই ঘাবড়ে গেলো, কারণ মিথ্যে মামলা দিয়েছে যখন ঘাবড়ে তো যাবেই। তারা আমাকে বললো যে, ‘না’ আপনি আসবেন না।’
‘কোর্টে যে মামলা মোকাবেলাই করতে সাহস পায়না তার একটাই কারণ যে, এতিমের টাকা তো চুরি করেছে। আর এই যে এতগুলি মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে তাদের লোকরা বলে মিথ্যে মামলা। কোনটা মিথ্যে মামলা?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতেই তো এতো মানুষ খুন। অপরাধী হিসেবে যারা সাজা পেয়েছে এবং সেই সাজা কার্যকর হয়েছে। সেই অপরাধীদের যারা এই বাংলাদেশে ভোট চুরি করে সংসদ সদস্য করেছে অথবা নির্বাচন করে নাই তারপরেও তাদেরকে মন্ত্রী বানিয়েছে। তাদের হাতে তুলে দিয়েছে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তযুক্ত পতাকা। তো তাদের বিচার কেন হবে না। তাদের বিচারও হতে হবে।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.