আজ শুক্রবার বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি : ফোকাস বাংলা
বাংলাদেশ ও চীন আজ দেশ দুটির মধ্যে বিদ্যমান গভীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে ‘কৌশলগত সহযোগিতা ও অংশীদারত্বের’ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একযোগে কাজ করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করে।
আজ শুক্রবার বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয় বলে বার্তা সংস্থা বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে গভীর ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার সম্পর্ক বিদ্যমান। কিন্তু এই সহযোগিতাকে উভয় দেশ কৌশলগত সহযোগিতা ও অংশীদারত্বের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দুই নেতার মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমও ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ চীনের প্রেসিডেন্টের বিমান ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে শি জিনপিংকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
বিকেল ৩টার কিছু পরে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষ হয় ৪টার কিছু পর। এরপর দুই নেতার উপস্থিতিতে ২৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। পরে দুই নেতা যৌথ বিবৃতি দেন।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত সহযোগিতা ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে আরো গভীর এবং সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি একে একটি নতুন অবয়ব প্রদানে একমত হয়েছেন।
সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠককে অত্যন্ত ফলপ্রসূ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে শহীদুল হক বলেন, এই সফরের ফলে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নবদিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিব আরো বলেন, দুই নেতাই এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে আরো উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময় হবে বলেও পররাষ্ট্রসচিব অভিমত ব্যক্ত করেন।
ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বিষয়ে দুই নেতার আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক অনেক পুরোনো। তবে চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফরের মধ্য দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিশেষ করে আইসিটি খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্রে আরো নতুন ক্ষেত্র উন্মুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরো গভীর এবং সম্প্রসারিত হবে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.