সিলেটের বিশ্বনাথে ট্রেন থেকে দুই কিশোরী অপহরণের পর গণধর্ষণ করা হয়েছে একজনকে। অপর কিশোরীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই দুই কিশোরী সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্থানীয় ছৈলা আফজালাবাদ রেলস্টেশনে পৌঁছে। এ সময় ৮ বখাটে এ দুই কিশোরীর পিছু নেয়। ট্রেনে করে সিলেটে যাওয়ার পথে বিশ্বনাথ উপজেলার সৎপুর রেলস্টেশনে পৌঁছামাত্র ওই দুই কিশোরী অপহরণের শিকার হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাতক থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুই যুবককে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো, বিশ্বনাথ উপজেলার মান্দাবাজ গ্রামের সোনা আলী ঠাকুরের ছেলে আবদুল বারিক (২২) ও একই এলাকার আবদুল মন্নানের পুত্র রুমেন মিয়া (২০)। জানা যায়, সিলেট নগরীর খোজারখোলা রেলওয়ে কলোনির বাসিন্দা ১৮ বছর বয়সী এক কিশোরী তার ১৬ বছরের এক ভাগনিকে নিয়ে ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামে দুলাভাই রুবেল মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বেড়ানো শেষে মঙ্গলবার বিকালে ওই দুই কিশোরী সিলেট যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্থানীয় ছৈলা আফজালাবাদ রেলস্টেশনে পৌঁছে। এ সময় ৭-৮ জন বখাটে দুই কিশোরীর পিছু নেয়। ট্রেনে সিলেট যাওয়ার পথে বিশ্বনাথের সৎপুর রেলস্টেশনে পৌঁছামাত্র লম্পট বারিক তার অন্য সহযোগীদের নিয়ে দুই কিশোরীর মুখ বেঁধে অপহরণ করে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে এক কিশোরীকে ৮ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ও অপর কিশোরীকে ধর্ষণ করতে না পেরে শারীরিকভাবে নির্যাতনের পর একটি কক্ষে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে কিশোরীর দুলাভাই রুবেল মিয়া প্রথমে বিষয়টি ছাতক থানা পুলিশকে অবহিত করলে আটককৃত আবদুল বারির বাড়ি থেকে দু’কিশোরীসহ ওই দুই যুবককে আটক করা হয়। আর ধর্ষিতাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনাস্থল বিশ্বনাথ উপজেলায় হওয়ায় বুধবার রাত ২টায় ছাতক থানা পুলিশ উদ্ধার হওয়া দু’কিশোরী ও আটক দু’জনকে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষিত কিশোরীর দুলাভাই রুবেল মিয়া বাদী হয়ে আটককৃত ওই ২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-(৫)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৬ জনকে রাখা হয়েছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.