ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে পেস আক্রমণে সামনে থেকে ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু ইনজুরির কারণে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে দেখা যায় না তাকে। ১৪ মাস আগে টেস্টে দারুণ বোলিং করেছিলেন মোহাম্মদ শহীদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু ইনজুরির কারণে লম্বা সময়ের জন্য দল থেকে ছিটকে পড়েছেন তরুণ পেস সেনসেশন মোস্তাফিজ। আর ইনজুরি কাটিয়ে উঠলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামতে পারবেন না শহীদ। যে কারণে ২০শে অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বড় দুশ্চিন্তাটা বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং নিয়ে। গতকাল চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের কণ্ঠেও উঠে আসে বিষয়টি। খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘পেসারদের মধ্যে মোস্তাফিজ ও শহীদ ইনজুরিতে। আমাদের ভরসা করতে হবে শফিউল, রুবেল আর আল আমিনের উপর। ১৪ মাস পর টেস্ট খেলতে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। আমরা জানি না পেসারদের অবস্থা কেমন আছে। তাই পেস বিভাগ নিয়ে কিছুটা চিন্তাতো আছেই।’ অন্যদিকে পেসারদের নিয়ে হতাশা ও চিন্তার কথা বেশ ভালোভাবেই ঝরেছে হাথুরুসিংহের কণ্ঠে। টেস্টে হুট করে নতুন কাউকে মাঠে নামিয়ে দিতে চান না তিনি। গুঞ্জন রয়েছে, টেস্ট দলে চমক হিসেবে আসতে পারেন শুভাশিষ রয় কিংবা ইবাদত হোসেন। পেসারদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক খেলোয়াড় চোটে পড়েছে। লম্বা সময় খেলা না থাকায় অনেকেই ছন্দ হারিয়ে ফেলেছে। আমরা জানি না, এই সময়ে আমাদের পেসাররা ঠিক কোন পর্যায়ে আছে। আমাদের হাতে যে খেলোয়াড় আছে তাদের ওপরই বিশ্বাস রাখতে হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে।’ অন্যদিকে পেস আক্রমণ নিয়ে চিন্তা থাকলেও স্পিন নিয়ে খুব একটা চিন্তার কারণ দেখছেন না দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেন, ‘সাকিবের সঙ্গে আমাদের তাইজুল আছে স্পিনে। আমাদের স্পিন আক্রমণ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই।’ কিন্তু দলে একজন লেগ স্পিনার না থাকাতে ভীষণ হতাশ বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানের রশিদ খান ও ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ দারুণ সফল ছিলেন। কিন্তু দলে কোনো লেগ স্পিনার না রেখেই ওই দুই ওয়ানডে সিরিজে খেলতে নামে বাংলাদেশ। বিশেষ করে জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়া লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনকে নিয়ে কোচ নিজের হতাশার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ওর স্কিল ছিল দারুণ। ক্যারিয়ারের শুরুতে যখন ছন্দে ছিল, তখন সেটা আমরা দেখেছিও। আমাদের ম্যাচ জিতিয়েছে ও। দ্বিতীয় কী তৃতীয় টেস্টে ৫ উইকেট নেয়, ভারতের বিপক্ষে বড় দুটি উইকেট পায়। কিন্তু ওর পেছনে যে সময় ও শক্তি আমরা ব্যয় করেছি, সেটা ফল না দেয়ায় আমরা খুবই হতাশ। এটি খুবই হতাশাজনক।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.