জেলেদের তো চোখ কপালে। কেন হবে না? এত বড় গলদা চিংড়ি যে কখনোই ধরেননি তাঁরা। ঘটনাস্থল আটলান্টিক মহাসাগরের বারমুডার উপকূল। নিকোল নামের একটি প্রবল সামুদ্রিক ঝড় গত সপ্তাহে সেখানে আঘাত হানে। তার এক দিন পরই ওই জেলেরা খুঁজে পান ১৪ পাউন্ড (ছয় কেজির বেশি) ওজনের চিংড়িটি। বিরাট আকৃতির জন্য তাঁরা এই গলদা চিংড়ির (লবস্টার) নাম দেন ‘সাগর দানব’। নোঙর করা একটি নৌকার কাছেই ধরা পড়ে চিংড়িটি। স্থানীয় জেলে ম্যাথু জোন্স বলেন, তাঁর সহযোগী ট্রিস্টান লোয়েশার বুঝতেই পারেননি নৌকার পাশে ওটা কী ছিল। পরে তিনি সাগরে নেমে সাঁতরে ফ্লাশলাইটের আলোয় দেখতে পান বিরাট চিংড়িটি। এত বড় লবস্টার তাঁরা জীবনে প্রথম দেখলেন। জোন্স গত সোমবার বলেন, লোয়েশার ভেবেছিলেন, ওটা লালচে স্ন্যাপার মাছ হবে। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখেন, লবস্টার। ঘটনাটি মনে রাখার মতো। সামুদ্রিক ঝড়ে ভেসে অনেক বড় প্রাণী সৈকতে চলে আসে। তাই বলে ছয় কেজির লবস্টার! জোন্স আরও বলেন, বড় লবস্টার সাধারণত সাড়ে চার কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের প্রতিটি পা দুই ফুট লম্বা। তবে তাঁরা যেটি পেয়েছেন, সেটা আরও অনেক বড়। এটি পুরুষ। তাঁরা আপাতত এটি অ্যাকুরিয়ামে রেখেছেন। তবে শিগগিরই আবার সাগরে ছেড়ে দেবেন। যেহেতু ঘটনাচক্রে ধরা পড়েছে, তাই এটিকে মুক্ত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। বারমুডার ওই লবস্টার বিশ্বের সবচেয়ে বড় নয়। ১৯৭৭ সালে কানাডার নোভা স্কশিয়ায় প্রায় ২২ কেজির (৪৪ পাউন্ড) একটি লবস্টার ধরা পড়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের মেইন উপকূলে ২০১২ সালে ১২ কেজির বেশি (২৭ পাউন্ড) ওজনের একটি লবস্টার খুঁজে পান জেলেরা।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.