নিজের হাতের তালুর মতোই ন্যু ক্যাম্পকে চেনেন পেপ গার্দিওলা। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বার্সেলোনার এই মাঠেই জীবনের সোনালী দিন কাটিয়েছেন। বার্সেলোনার খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৯২ সালে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জেতেন এ স্পানিয়ার্ড। এরপর ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ক্লাবটির কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ক্লাবটির সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানোর অন্যতম কারিগর তিনি। হালের অন্যতম সেরা এই কোচকে বার্সেলোনারও অন্যতম সেরা কোচ বলা হয়। কোচ হিসেবে চার বছরে বার্সেলোনাকে তিনি এনে দেন ১৪টি শিরোপা। ক্লাবটির সঙ্গে অনেকটা তার নাড়ির সম্পর্ক। কিন্তু সেই বার্সেলোনা-ই এখন তার প্রতিপক্ষ। ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপপর্বে আজ ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটি নিয়ে তিনি ন্যু ক্যাম্পে সফর করবেন। সাবেক শিষ্য লিওনেল মেসিদের বিপক্ষে দল পরিচালনা করবেন। এক সময় যে দলের জন্য ডাকআউটে ঘাম ঝরাতেন সেই দলই আজ তার প্রতিপক্ষ। লিওনেল মেসি, নেইমার সুয়ারেজদের আটকানোর ছক তার মাথায়। ন্যু ক্যাম্পে বার্সেলোনাকে আটকানো যে পৃথিবীর অন্যতম কঠিন কাজের একটি তা ভাল করেই জানেন গার্দিওলা। কিন্তু তিনি যেহেতু মেসিদের নাড়ি-নক্ষত্রের খবর জানেন তাই ম্যানসিটির সমর্থকরা আশায় বুক বেঁধে আছেন। নিজেদের মাঠে ২০১৩ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স লীগে হারেনি বার্সেলোনা। দলের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রাও আছেন ফর্মের তুঙ্গে। ইনজুরি থেকে মাঠে ফেরার তিন মিনিটের মাথায় গোল করে মেসি নিজের পুরোপুরি সুস্থতার প্রমাণ দিয়েছেন। মেসিকে ঠেকানো যে কঠিন হবে এটা অকপটে স্বীকার করলেন ম্যানসিটির আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো। জাতীয় দলে মেসির এ সতীর্থ বলেন, ‘অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, মেসিকে আটকানো খুবই কঠিন হবে। এখন আমরা মেসির একটি খারাপ দিন আর আমাদের রক্ষণভাগের সেরা দিন আশা করতে পারি। লিও’কে ঠেকানো সত্যিই অনেক কঠিন। সে বিশ্বসেরা খেলোয়াড়।’ বার্সেলোনার বিপক্ষে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির রেকর্ডটাও মলিন। ক্লাব দু’টি এ পর্যন্ত পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে। এরমধ্যে মাত্র একবার জিতেছে ইংল্যান্ডের দলটি। সেটা ছিল ২০০৯ সালে এ প্রীতি ম্যাচে। এরপর তারা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে মুখোমুখি হয়েছে দুই মৌসুমে চারবার। গত দুই মৌসুমের চার লড়াইয়ের প্রতিটি হেরেছে ম্যানসিটি। ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ দুইবার তারা মুখোমুখি হয়ে শেষ ষোলোয়। তবে ম্যানসিটির সমর্থকরা এবার অন্যরকম কিছুর আশা দেখছে তাদের কোচ পেপ গার্দিওলা বলে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.