মাগুরার হর্টিকালচার সেন্টারের বাগানে চাষ হচ্ছে বিশেষ জাতের বারোমাসি আম। ভিয়েতনাম থেকে এই জাতের আমের চারা এনেছে কৃষি বিভাগ। যা পরীক্ষামূলকভাবে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের বাগানে দু’বছর আগে এই চারা লাগানো হয়। এ বছর প্রতিটি গাছেই এই আমের ফলন এসেছে। মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ব্ববিদ আমিনুল ইসলাম জানান, এই জাতের আম গাছে সারা বছরই কোনো না কোনো ডালে মুকুল থাকে। ফলে একটি ডালের আম পরিপক্ক হতে না হতেই অন্য ডালে মুকুল এসে যায়। সে কারণে সারা বছরই গাছে আম থাকে। মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের বাগান ঘুরে দেখা গেছে, বাগানের প্রত্যেক গাছেই ধরে আছে আম। পাশাপাশি কয়েকটি ডালে নতুন পাতা ও কুঁড়ি এসেছে। পরিপক্ক আমগুলোর প্রতিটির ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম । আমগুলো খেতে অনেক সুমিষ্ট। গাছের উচ্চতা সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৫ ফিট। আমিনুল ইসলাম মনে করেন, এই জাতের আম আমাদের দেশের আবহাওয়ায় অত্যন্ত উপযোগী। এ কারণে এটির সম্প্রসারণ করা গেলে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হবে। মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের গাছ থেকে এ বছরই কলম পদ্ধতিতে এই জাতের চারা করে জেলায় ছড়িয়ে দেয়া হবে। ইতিমধ্যে জেলার নার্সারি মালিকরা মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের বাগান থেকে এ আমের চারা সংগ্রহ করেছেন। নার্সারি মালিকরা জানান, বারো মাসই ফল ধরছে এমন চারাই আমাদের দরকার । এটির ফলন ভালো বিধায় আমরা কলম পদ্ধতিতে চারা বানিয়ে বিক্রি করছি। মাগুরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ চারা সংগ্রহ করতে আসছে। তাছাড়া প্রতিটি আমের ওজন ৫০০ গ্রাম হওয়ায় এটির চাহিদা রয়েছে ব্যাপক । মাগুরা সদরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নাজিমউদ্দিন জানান, গত বছর আমি একটি নার্সারি থেকে সংগ্রহ করে আমার ফলজ বাগানে রোপণ করি। পরের বছর গাছটিতে আম ধরে। আমটি দেখতে ভালো ও স্বাদও খুব মিষ্টি। আমের আঁশ না থাকায় খেতেও ভালো। বর্তমানে আমাদের গ্রামের অনেক কৃষক ইতিমধ্যে বারোমাসী এ আমের চারা সংগ্রহ করে বাড়ির আঙ্গিনায় রোপণ করেছেন।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.