টয়লেটের ভেতরে নরম সাদা কাগজ। তাতে লেখা ‘ওয়েলকাম টু জাপান’। ওয়াই-ফাই স্পট এবং ভ্রমণ নিয়ে অন্যান্য তথ্যও আছে। ভাবছেন এটা ‘টয়লেট পেপার’? তা বলতে পারেন। তবে জাপানের নারিতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এটা টয়লেটের ভেতরে রেখেছে, যাতে তা দিয়ে যাত্রীরা স্মার্টফোন সাফ করতে পারেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে জাপানিরা বরাবরই সচেতন। স্মার্টফোনের জন্য বিশেষ টিস্যু পেপারের বন্দোবস্ত করে তারা আবারও সেটার প্রমাণ দিল। এই পরিষ্কারক কাগজ আসল টয়লেট পেপারের পাশেই রাখা থাকে। এটি দিয়ে স্মার্টফোনের পর্দা মুছে জীবাণুমুক্ত করা যায়। ইতিমধ্যে নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮৬টি কক্ষে এই বিশেষ টিস্যু রাখা হয়েছে। এনটিটি ডোকোমো নামের একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান এই উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছে। একাধিক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী স্মার্টফোনের পর্দায় টয়লেটের কমোডের চেয়েও বেশি পরিমাণে জীবাণু থাকে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই জাপানি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের টয়লেটে বিশেষ টিস্যু রেখেছে। তা ছাড়া কয়েকটি জরিপ বলছে, বিদেশি পর্যটকেরা জাপানের পাবলিক টয়লেটের বৈচিত্র্য ও পরিচ্ছন্নতায় মুগ্ধ। জাপানিরা টয়লেটকে সহজাত বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সরকারি অনেক ভবনে অত্যাধুনিক টয়লেট রয়েছে। এসবের বৈশিষ্ট্য হলো উষ্ণ কমোড এবং গরম পানি ব্যবহারের সুযোগ। তা ছাড়া সেখানকার বাতাসেও সুগন্ধি আকর্ষণ থাকে। আছে উচ্চ শব্দের ফ্ল্যাশের মতো স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। জাপানের আনকোরা নতুন মডেলের টয়লেটে দুর্গন্ধ দূরীকরণের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রস্তুতকারকেরা দাবি করছেন, এটা বাজে গন্ধ দ্রুত দূর করতে পারে। নারিতাগামী যাত্রীরা স্মার্টফোন পরিষ্কারক কাগজ পেয়ে খুশি। কারণ, এতে অন্য সুবিধাও তো আছে। যেমন: ওয়াই-ফাই ব্যবহারের জায়গার পরিচিতি এবং ভ্রমণবিষয়ক নানা তথ্য মুফতে পাওয়া যাচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.