এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ
বাংলাদেশের বিপক্ষে রক্ষণাত্মক খেলেও পার পেলো না সিঙ্গাপুরের মেয়েরা। গতকাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কোচ চেন কাই ইং গোটা দলকে সারিবদ্ধভাবে পোস্টে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এতেও শেষরক্ষা হয়নি। স্বাগতিকদের কাছে তাদের হারতে হলো বড় ব্যবধানে। আগের ম্যাচে ইরানকে হারানো মার্জিয়া-সানজিদারা এদিন জাতিকে উপহার দিলেন ৫-০ গোলের জয়। এ ম্যাচে দুটি করে গোল করেন অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকার ও অনুচিং। একটি গোল এসেছে মৌসুমীর পা থেকে। এদিকে আরব আমিরাতকে ৫-০ গোলে হারিয়ে গোল গড়ে বাংলাদেশ পেছনে ফেলে ‘সি’ গ্রুপের শীর্ষে চাইনিজ তাইপে। এদিন ইরানও ৯-০ গোলে হারিয়েছে কিরগিজস্তানকে। এই কিরগিজস্তানের বিপক্ষে আগামীকাল মাঠে নামবে বাংলাদেশের মেয়েরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী ইরানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের পারদটা উর্ধ্বমূখীই ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের। ইরান ম্যাচে দারুন খেলেছিলেন মারিয়া, মার্জিয়া। গতকাল যেন তাদের দায়িত্ব তুলে নেন কৃষ্ণা ও সানজিদা। এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই সিঙ্গাপুরকে চাপের মুখে রাখে স্বাগতিকরা। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাঁসা করে ফেলে প্রতিপক্ষ শিবিরকে। বাংলাদেশ দল যতটা চাপ তৈরি করেছিল, ঠিক ততটাই নিজেদের দুর্গ ঠিক রাখার চেষ্টা করে সফরকারীরা। সুযোগ পেলেও তারা বাংলাদেশের সীমানায় বল নিয়ে যেতে চায়নি। দলটির ১১ জনই নিজেদের সীমানায় থেকেছেন। একের পর এক আক্রমন করেও যখন গোলের দেখা পাচ্ছিল না বাংলাদেশ শিবির, তখন হঠাৎ করেই যেনো পুরো স্টেডিয়ামে আনন্দের রং ছড়িয়ে দেন অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী। সানজিদার ক্রস থেকে ছোট বক্সের সামনে দাঁড়ানো এ স্ট্রাইকার চমৎকার হেডে বল জালে জড়ান (১-০)। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধে আরও পরিণত আরও শানিত বাংলাদেশ শিবির। এ অর্ধে নিজেদের শক্তি জানান দিতে খুব একটা দেরি করেনি গোলাম রব্বানীর শিষ্যরা। বল মাঠে গড়ানোর মাত্র দ্বিতীয় মিনিটেই আবারও গোল করে দলকে উৎসবে মাতিয়ে তোলেন কৃষ্ণা রানী। এবার বাম প্রান্ত দিয়ে মার্জিয়ার ক্রস থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের আলতো টোকায় গোল আদায় করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক (২-০)। ৫৯ মিনিটে গোলের সহজ একটি সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন মিডফিল্ডার মার্জিয়া। সিঙ্গাপুরের গোলরক্ষক নুর ইজ্জাতিকে একা পেয়ে বল বাইরে পাঠিয়ে দেন এই উইংগার। তবে ৮৩ মিনিটে ভুল করেননি অনুচিং। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বদলী হিসেবে মাঠে নামা তহুরা সিঙ্গাপুরের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের বামপ্রান্ত থেকে জোরালো শট নেন। গোলরক্ষক নুর ইজ্জাতের হাত ফসকে গেলে ফাঁকায় দাঁড়ানো আরেক বদলি মিডফিল্ডার অনুচিং দৌড়ে এসে গোল আদায় করে নিয়ে স্কোর লাইন (৩-০)তে নিয়ে যান। তিন মিনিট পরেই আবারও গোলের দেখা পায় স্বাগতিকরা। এবার মৌসুমী কর্ণার থেকে উড়ে আসা বল জটলার মধ্যে পেয়েই বাঁ পায়ে বল থামিয়ে ডান পায়ের শটে তা জালে জড়ান (৪-০)। অতিরিক্ত সময়ে সফরকারী দলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন অনুচিং (৫-০)। টানা দ্বিতীয় জয়ে মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন আরো কিছুটা পরিষ্কার হলো বাংলাদেশ দলের।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.