আইএস ‘নৃশংস প্রতিপক্ষ’

জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে ‘নৃশংস প্রতিপক্ষ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন একজন শীর্ষ মার্কিন জেনারেল। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল পুনর্দখলের অভিযান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন টাউনসেন্ড এ মন্তব্য করেন। তিনি ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর প্রধান। বিবিসিকে জেনারেল টাউনসেন্ড বলেন, লড়াইয়ের ময়দায়ে আইএস ধূর্ত ও সৃজনশীল ও পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত মানিয়ে নেয়।
জেনারেল টাউনসেন্ড বলেন, ‘তারা সাধারণ মানুষকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই নৃশংস প্রতিপক্ষকে অবশ্যই থামাতে হবে। তারা টিভিতে মানুষের শিরশ্ছেদ করেছে, ডুবিয়ে মেরে ভিডিও করেছে। খাঁচার ভেতর জীবন্ত মানুষ মেরেছে। মানুষকে বুলডোজার চাপা দিয়ে মেরেছে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার ইরাকি বাহিনী জানিয়েছে, তারা বারতেলা শহর পুনর্দখলে নিয়েছে। এটি মসুলের ১৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। তবে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত এ শহরে তীব্র প্রতিরোধ দেখিয়েছে আইএস। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়, স্পেশাল ফোর্স এ শহরে ঢুকে পড়লে, বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা চালায় জঙ্গিগোষ্ঠীটি। ইরাকের সন্ত্রাসবাদবিরোধী সংস্থার প্রধান তালেব শেঘাতির মতে, মসুল পুনর্দখলে বড় অভিযান শুরুর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি বারতেলা শহর। কিছু প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মসুলের দক্ষিণে পিছু হটেছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। পিছু হটার সময় একটি রাসায়নিক প্লান্টে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তারা। এই আগুন নির্বাপণ করা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। ২০০৩ সালে এই প্লান্টে আগুন ধরে যাওয়ার পর নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক সপ্তাহ লেগে গিয়েছিল। ফলে বাতাসে ছড়িয়ে যায় বিষাক্ত সালফার ডাই-অক্সাইড গ্যাস।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, উত্তর ইরাকে রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমায় এক আমেরিকান সেনা নিহত হয়েছে। ২০১৪ সালে ইরাকে আইএস-বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে চারজন মার্কিন সেনা মারা গেল।