ইংলিশদের বিপক্ষে টাইগারদের জয় পেতে প্রয়োজন ৩৩ রান। হাতে মাত্র দুই উইকেট। ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে ২৮৬ রানের লক্ষ্যে জয়ের ইতিহাস সীমিতই বলা যায়। তার মধ্যে চট্টগ্রামে উইকেটের যেমন অবস্থা, তাতে করে পঞ্চম দিনের শুরুতে সাব্বির-তাইজুল-শফিউলের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে! কঠিন তবে অসম্ভব নয় বলেই ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। গতকাল ম্যাচের চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে কোচ বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে পঞ্চম দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে যতক্ষণ সম্ভব সময় কাটানো। আর এই কাজটা করতে পারলে, আমরা জিততে পারবো।’ হাথুরুসিংহে অবশ্য মনে করেন ম্যাচের ১০-১৫ ওভারের মধ্যেই ফল চলে আসবে। ক্রিজে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে আছেন কেবলমাত্র সাব্বির রহমান। তিনি ৫৯ রানে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গে ১১ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। এ ছাড়া শেষ উইকেট হিসেবে আছেন পেসার শফিউল ইসলাম। পঞ্চম দিনের সকালের শুরুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে তাইজুলকে। সাব্বিরকে সঙ্গ দিতে ক্রিজ আকড়ে থাকতে হবে এই স্পিনারকে। হাথুরুসিংহ অবশ্য তাইজুলকে প্রথম ১০-১৫ বল দেখেশুনে খেলার পরামর্শ দিলেন, ‘তাইজুলকে ১০-১৫ বল দেখেশুনে খেলতে হবে। আমাদের সামনে সুযোগ আছে পুরো ৯০ ওভার ব্যাটিং করার।’ এদিকে টেস্টে জেতার প্রথম ‘শর্ত’ই হচ্ছে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়া। বাংলাদেশের বোলাররা পারবেন ইংল্যান্ডের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপ দুবার অল আউট করতে? চার দিন আগেও উত্তরটা ‘না’-ই ছিল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কাছে। বাংলাদেশ কোচ বলেছিলেন, ইংল্যান্ডকে দুবার অল আউট করার সামর্থ্য নেই তাঁর বোলারদের। কোচকে ভুল প্রমাণ করেছে তাঁর শিষ্যরা। আর এতে সবচেয়ে খুশি কোচ নিজেই। বাংলাদেশ আসলেই অনভিজ্ঞ আর ধারহীন এক বোলিং আক্রমণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই টেস্টে বাংলাদেশ যে ইংল্যান্ডকে কাঁপিয়ে দিয়েছে বারবার, বোলারদের কৃতিত্বই বেশি। তাতে অভিষিক্ত মেহেদী মিরাজের যেমন অবদান আছে, আছে সাকিবের মতো অভিজ্ঞ বোলারেরও। নিজে প্রত্যাশার পারদ নিচে নামিয়ে রাখলেও হাথুরু নিজে কিন্তু দলের বোলারদের প্রতিনিয়ত উৎসাহ জুগিয়ে গেছেন। গতকাল সম্মেলনে হাথুরুকে যখন মুশফিক-সাব্বিরের পারফরম্যান্সের কথা জিজ্ঞাসা করা হলো, ব্যাটসম্যান নয়, বোলারদেরই প্রশংসায় ভাসালেন, ‘আমি কারও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে বলব না। সত্যি খুশি তারা ওদের ২০ উইকেট নিয়েছে। এটা একটা ইতিবাচক দিক ছিল। ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে চার দিন শেষেও যে ম্যাচে আছি, এতে দারুণ খুশি।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.