দ্য হিন্দুকে বিশেষজ্ঞরা
সুন্দরবনে প্রস্তাবিত রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের পরিবেশ কর্মী বিত্তু সাহগাল। তার মতে, এ প্রকল্পের ফলে পরিবেশের ওপর অনিবার্য পরিণতি নেমে আসবে। এর দরুন প্রকল্পের বিনিয়োগ হারানোর শঙ্কাও রয়েছে। ‘ইন্ডিয়া ফর অ্যানিম্যালস’-এর চতুর্থ সম্মেলনের সাইডলাইনে দ্য হিন্দুকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। পরিবেশবিদ বিত্তু সাহগাল বলেন, সুন্দরবন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ কার্বন শোষণকারী বন। সেখানে কয়লা চালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হলে বিনিয়োগ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। কারণ, এ প্রকল্পের দরুন পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাবে, যার ফলে পরিচলন সৃষ্টি হতে পারে। ঝড়ো বাতাস সমেত সাইক্লোন তৈরি হতে পারে, যা পরবর্তী ১০ বছরেই প্রকল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। খবরে বলা হয়, ইউনেস্কোর মতে ১৩২০ মেগাওয়াটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবন থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে স্থাপিত হবে। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টার ও আইইউসিএন’র একটি প্রতিবেদনে এ প্রকল্প সমপর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু উদ্বেগ উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বাতাসে কয়লার ছাই, বর্জ্য জল ও ছাইয়ের দরুন দূষণ তৈরি হতে পারে। বেড়ে যাবে জাহাজ চলাচল ও ড্রেজিং। এ ছাড়া ক্রমবর্ধমান শিল্প ও অন্যান্য অবকাঠামোগত প্রভাবকেও সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর বলে চিহ্নিত করা হয়। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সুন্দরবনে মিঠা পানির প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমিয়ে ফেলা হয়েছে। ফলে উল্লেখযোগ্য হারে লবণাক্ততা ও পলি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সুন্দরবনের সামগ্রিক বাস্তুসংস্থানের ভারসাম্য হুমকিতে ফেলেছে। দ্য হিন্দুকে পরিবেশবিদ বিত্তু সাহগাল আরো বলেন, প্রাণী ও মানুষের মধ্যে বিরোধের কারণ হলো মানুষ প্রাণীদের এলাকায় অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে। বন্যপ্রাণী ও বাস্তুসংস্থান বিষয়ক ম্যাগাজিন স্যাঙ্কচুয়ারি এশিয়ার এই সমপাদকের ভাষ্য, ‘রাজনীতিবিদরা নির্বাচনে জিততে চান বলে বনের একটা অংশ মানুষকে দেয়ার কোনো মানে হয় না।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.