বিয়ের অনুষ্ঠানের খরচ অনেক। সে জন্য ৩০০ মার্কিন ডলার জোগাড় করতে হিমশিম দশা হয়েছিল কেনিয়ার যুগল উইলসন ও অ্যান মুটুরার। শেষে গত বছর আয়োজনটাই স্থগিত করতে হয়েছিল দুবার। এ বছর তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন, কোনো আড়ম্বর নয়। সর্বনিম্ন খরচে বিয়ে সারবেন। অবশেষে তাই হলো। মাত্র এক ডলারে দুটো আংটি কিনলেন। সেগুলো পরস্পর বদল করলেন। বিয়ের শপথও উচ্চারণ করলেন। চারদিকে তখন বন্ধুবান্ধবের উচ্ছ্বাসধ্বনি। বর-কনে সাধারণ পোশাকেই বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগের অনলাইন মাধ্যমে এই বিয়ে নিয়ে তুমুল হইচই হলো। শেষে কেনিয়ার সংবাদমাধ্যমও ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করেছে। বিয়ের আরও কিছু খরচ ছিল। তবে সেগুলো গির্জা কর্তৃপক্ষই বহন করেছে। অনলাইনে অনেকেই উইলসন-অ্যানের মিতব্যয়ী বিয়ের প্রশংসা করেছেন। কেনিয়ায় বিয়ের খরচ ক্রমে বাড়ছে। এসব আয়োজনের খরচ অহেতুক—এমন মনোভাব পোষণ করে বিস্তর লোকজন। তবু সামাজিকতা রক্ষার কারণ দেখিয়ে পিছপা হতে নারাজ অনেকে। কিন্তু উইলসন-অ্যান দম্পতি এ ক্ষেত্রে একটা ইতিবাচক নজির স্থাপন করে তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ২৭ বছর বয়সী উইলসন ও ২৪ বছর বয়সী অ্যান প্রেম করেছেন তিন বছর ধরে। কিন্তু পরিণয়ের পথে তাঁদের প্রধান বাধা ছিল খরচ। পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবের কাছে ধার চেয়েও গত বছর ব্যর্থ হন। শেষে উইলসনের এক বড় ভাই বিয়ের চিন্তা বাদই দিতে বললেন। কিন্তু স্বাবলম্বী ফলবিক্রেতা উইলসনের সেটা পছন্দ হলো না। তিনি প্রচলিত রীতিতেই সংসার করতে চেয়েছেন সব সময়। অ্যানও রাজি, হোক না অনাড়ম্বর। শেষে তাঁরা কেক, ফুল বা সাজসজ্জা ছাড়া সাদামাটা বিয়ের পথই বেছে নিলেন। নাইরোবির এই যুগল বলেছেন, সাদামাটা এই বিয়ের ব্যাপারে অনলাইনে লোকজনের ইতিবাচক সাড়া দেখে তাঁরা মুগ্ধ। আশা করছেন, কেনিয়ার অন্য তরুণ-তরুণীরাও এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবেন। অর্থের অভাবে যেন কারও বিয়ে আটকে না যায়। পরস্পর ভালোবাসলে বিয়েটা করে ফেলাই উচিত। উইলসন-অ্যান শিগগিরই মধুচন্দ্রিমায় যাবেন। একটা ট্রাভেল অ্যাজেন্সি এই দম্পতিকে পাঁচ দিনের ভ্রমণ প্রস্তাব দিয়েছে।
তথ্যসূএ: ইন্টারনেট
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.