ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের আট টেস্টে সবক’টিতেই হার। কোনো ম্যাচেই তেমন দাপট দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। ইংলিশরা বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলে ২০০৩ সালে। এর ৭ বছর পর ২০১০-এ খেলে দ্বিতীয় সিরিজ। এবার ঠিক তার ছয় বছর পর ফের টেস্ট সিরিজ খেলতে এসেছে বাংলাদেশে। ১৩ বছর একটু একটু করে এগিয়েছে বাংলাদেশ দল। ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক ৬ বছর আগে যে বাংলাদেশকে দেখে গেছেন তারা এখন যে আগের সেই অবস্থানে নেই তা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পেরেছেন। যে উইকেটে ইংল্যান্ডের ২৪০ রান তুলতে অল আউট হতে হয়েছে, সেই উইকেটে চতুর্থ দিন ২৮৬ রান তাড়া করে বাংলাদেশ এত কাছে চলে যাবে তাতে খুব অবাকই হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই ভেবেছিলাম ২৮০ রান যথেষ্টই হতে যাচ্ছে। ভাবতে পারিনি ওরা এত কাছাকাছি যাবে। বিশেষ করে ওরা যেভাবে স্পিন সামলেছে, সেটি ছিল মুগ্ধ করার মতো।’ প্রথম দিন থেকে চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিন পর্যন্ত ক্রমশ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে। টেস্টে শেষ ইনিংসে ২৮৬ রান তাড়া যে কোনো প্রেক্ষাপটেই বেশ কঠিন। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট বিবেচনায় সেটি ছিল প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। শেষ দিনে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২ উইকেট, বাংলাদেশের ৩৩ রান। নিজেদের জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ইংলিশ অধিনায়কও। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল শেষ পর্যন্ত জয়টা আসবে। ধৈর্য ধরেছে দলের সবাই। স্পিনাররা যেমন ভালো করেছে তেমনি বেন স্টোকস বল হাতে নয় ব্যাট হাতেও দারুণ করেছে।’ অন্যদিকে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্পিনের বিপক্ষে তার সাফল্যের কথা তুলে ধরেন বেন স্টোকস। ইংল্যান্ডের স্পিনাররা ভালো করলেও মূলত এ টেস্টে সব দিক থেকে জয়ের নায়ক ২৫ বছর বয়সী ২৬ টেস্ট খেলা বেন স্টোকস। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যাটিংয়ে স্পিনারদের বিপক্ষে যে ভালো খেলতে পারি তা প্রমাণ করতে পেরেছি এই টেস্টে। এ জন্য আমি প্রত্যেক ম্যাচের পূর্বে কঠোর অনুশীলন করে গেছি। শুধু টেস্ট না, ওয়ানডেতেও। যার ফলাফল পেয়েছি আমি।’ বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের খেলারও প্রশংসা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তারা খুব ভালো জায়গায় বল ফেলছিল। যার ফলে খেলা কঠিন হয়ে যায়। তাই সময় নিয়ে বাজে বল পাওয়ার অপেক্ষায় থেকেছি। পেলেই ছক্কা-চার হাঁকিয়েছি।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.