দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৩ রানে সব উইকেট হারালো বাংলাদেশ। এতে ম্যাচে দুদলের দুই ইনিংসের পুরো ৪০ উইকেটের পতন দেখতে পেলেন দর্শকরা। বাংলাদেশের মাটিতে কোনো টেস্ট ম্যাচে ৪০ উইকেট পতনের প্রথম ঘটনা এটি। এর আগে ম্যাচে সর্বাধিক ৩৯ উইকেটের পতন দেখা গিয়েছিল চট্টগ্রামেই। এবারের চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২৯৩। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪০ রানে সব উইকেট হারায় ইংলিশরা। জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া কোনো দলের বিপক্ষে টাইগারদের ২০ উইকেট শিকারের প্রথম ঘটনা এটি। জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া ম্যাচে টাইগারদের সর্বাধিক ১৯ উইকেট শিকারের রেকর্ডটি পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২০০৩ সালে মুলতানে ওই ম্যাচে ১ উইকেট হার দেখে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের নাটকীয় জয়ে এশিয়ায় এক গেরো খুললো সফরকারী দলগুলোর। এশিয়ার মাটিতে টেস্টে ১৮ ম্যাচ পর জয় পেলো সফরকারী কোনো দল। সর্বশেষ ২০১৪ সালের নভেম্বরে শারজায় পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় কুড়ায় নিউজিল্যান্ড। পরের ১৮ টেস্টে এশিয়ার দলগুলো কুড়ায় ১৪ জয় আর ৪টি ড্র। আর ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে এশিয়ার মাটিতে ৩০ ম্যাচে সফরকারী কোনো দলের মাত্র দ্বিতীয় জয় এটি। চট্টগ্রাম টেস্টে ইংল্যান্ডের কাছে ২২ রানে হার দেখলো ইংল্যান্ড। রানের নিরিখে এটি টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম ব্যবধানে হার। আর ১৩৯ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ইংল্যান্ডের এটি দশম কম ব্যবধানে জয়। ইংলিশদের এমন আগের ৯ জয়ই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এতদিন অস্ট্রেলিয়া ছাড়া ইংল্যান্ডের এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জয়ের রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেডিংলি টেস্টে ২৩ রানে জয় পায় স্বাগতিক ইংল্যান্ড।
রেকর্ড বুকে স্টোকস-সাব্বির ব্যাট হাতে ৬৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেললেন সাব্বির রহমান। চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ নম্বরে ব্যাট হাতে ১০২ বল মোকাবিলায় তিনটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান সাব্বির রহমান। ১৩৯ বছরের টেস্ট ইতিহাসে অভিষেক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংক্রমের ৭ বা তার নিচে অর্ধশতক হাঁকানো মাত্র নবম ক্রিকেটার তিনি। আর এমন তালিকায় সাব্বিরের ৬৪* ইনিংসটি রয়েছে চতুর্থ স্থানে। অভিষেক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের এটি প্রথম অর্ধশতক। অভিষেক ইনিংসে আমিনুল ইসলাম বুলবুল, মোহাম্মদ আশরাফুল, আবুল হাসান রাজুদের সেঞ্চুরির কীর্তি থাকলেও অভিষেক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের অর্ধশতকের নজির ছিল না। চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাট হাতে ১০৩ রান ও বোলিংয়ে ৬ উইকেট শিকার ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় বেন স্টোকসের। এশিয়ার মাটিতে ইংলিশ কোনো ক্রিকেটারের ম্যাচে ১০০ রান ও পাঁচ উইকেটের ঘটনা দেখা গেলো দীর্ঘ ৩৬ বছর পর। সর্বশেষ ১৯৮০ সালে মুম্বই টেস্টে এমন কৃতিত্ব দেখান গ্রেট অলরাউন্ডার ইয়ান বোথাম। এশিয়ার মাটিতে ইংলিশদের এমন নজির রয়েছে আর কেবল দুইবার। ১৯৬২ সালে করাচি টেস্টে টেড ডেক্সটার ও ১৯৭৩ সালে লাহোরে টনি গ্রেগ দেখান এমন কৃতিত্ব। ২০১৫ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনবার ম্যাচ সেরা পুরস্কার পেলেন বেন স্টোকস। টেস্টে এ সময় দুইবারের বেশি এমন পুরস্কারের কৃতিত্ব নেই ইংল্যান্ডের আর কোনো ক্রিকেটারের।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.