দলের টানা ব্যর্থতায় এমনিতে বড় চাপে হোসে মরিনহো। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির কাছে গত মাসে হারে তার দল। আর প্রিমিয়ার লীগে সর্বশেষ ম্যাচে সাবেক ক্লাব চেলসির মাঠ থেকে ৪-০ ব্যবধানের হারের লজ্জা নিয়ে ফেরেন তিনি। পয়েন্ট টেবিলে তার দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অবস্থান এখন সপ্তম। দলের এমন অবস্থার মধ্যে ম্যানচেস্টারে নিজের জীবনযাপন নিয়ে হতাশার কথা জানালেন পর্তুগিজ এ কোচ। এখানকার জীবনে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। সঙ্গে নেই পরিবারের কেউ। স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। ইচ্ছামতো কিছু খেতে পারছেন না। কারো সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারছেন না। সব মিলিয়ে এখানে তার জীবনটা তিক্ত হয়ে উঠেছে বলে জানালেন মরিনহো। চলতি মৌসুমের শুরুতে লন্ডনের ক্লাব চেলসি থেকে ম্যানচেস্টারের এই ক্লাবটিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। এখনও তার পরিবার লন্ডনেই রয়েছে। সেখানেই তারা থিতু হয়ে গেছেন। স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে লন্ডনেই থাকেন। আর ম্যানচেস্টারের হোটেলে একাকী থাকেন মরিনহো। বৃটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’-এর খবর অনুযায়ী মরিনহো বলেন, ‘এটা আমার জন্য বিধ্বস্তকর অবস্থা। আমি বাইরে বের হয়ে হাঁটতে চাই, কিন্তু সেটা পারছি না। সামনের ব্রিজটা পার হয়ে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে কিছু খেতে চাই, কিন্তু সেটাও পারছি না। এটা সত্যিই আমার জন্য খুবই খারাপ।’ রান্না করতে পারেন না বলে নিজে আলাদা কোনো এপার্টমেন্টেও উঠতে পারছেন না। বলেন, ‘যদি ভালো এপার্টমেন্ট পাই, যেখানে ভাল গ্যারেজের ব্যবস্থা আছে তাহলে সেখানে যেতে পারি। কিন্তু সেটাও করতে পারছি না। সেখানে গেলে রান্না করে খেতে হবে। কিন্তু আমি রান্না করতে পারি না। তবে আমার মোবাইলে অ্যাপস আছে। সেখান থেকে খাবারের অর্ডার দেই। খাবার দরজায় পৌঁছে যায়। অধিকাংশ সময় আমি এমনটাই করি। কিন্তু এমন খাবার খেতে আর ইচ্ছা করছে না।’ লন্ডনে থাকা দুই সন্তানকে নিয়েও তিনি চিন্তিত। বলেন, ‘এখানে (ম্যানচেস্টার) বাড়ি কেনার কথা বলছেন? আমি জানি না- সেটা সম্ভব কি-না। সত্যি কথা হলো, আমার দুই সন্তান এখন লন্ডনে থিতু। আগামী সপ্তাহে আমার মেয়ে ২০ বছরে পা দিবে আর মাস দুয়েক পর ছেলেটার বয়স ১৭ তে পড়বে। তারা লন্ডনের বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডনের ফুটবল ও বন্ধুদের সঙ্গে খুব ভালোভাবে মিশে গেছে। সেখানেই তারা থাকতে চায়। তারা আমাকে এত দূরে রেখে কখনও থাকেনি। প্রথমবারের মতো আমার পরিবার আমাকে ছাড়া থাকছে। বিষয়টা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য কষ্টকর।’ ম্যানচেস্টারে পাপারাজ্জিরা সবসময় তার পিছু নেয় বলেও বিরক্ত তিনি। বলেন, ‘আপনি পাপারাজ্জিদের ইতিহাস জানেন। সবাই আমার হোটেল চেনে। সবসময় ওত পেতে থাকে। ব্যক্তিগত জীবনে স্বাধীনভাবে চলাফেরা টুকু করতে পারছি না।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.