দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ধর্ষণের শিকার পাঁচ বছরের শিশুটির চিকিৎসার জন্য বৈঠকে বসেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৯ সদস্যের চিকিৎসক বোর্ড। বৃহস্পতিবার সকালে ঢামেকের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) এ বৈঠক শুরু হয়।
এ বৈঠক শেষে দুপুর ১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ায় জেনারেল মো. মিজানুর রহমান শিশুটির চিকিৎসার ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে জানাবেন।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত বোর্ডের ৯ চিকিৎসক হলেন- গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী আক্তার, শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশরাফ উল ইসলাম, ইউরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আমানুর রসূল, নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জিল্লুর রহমান, শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাঈদ আনোয়ার, বার্ন ইউনিটের ডা. আবুল কালাম, মানসিক বিভাগের অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মামুন, এনেসথিয়া বিভাগের ডা. মোজাফফর হোসেন এবং ওসিসি সেন্টারের সমন্বয়কারী ডা. বিলকিস বেগম।
এরআগে ওসিসি সেন্টারের সমন্বয়কারী ডা. বিলকিস বেগম জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুটির যৌনাঙ্গ খুবই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। বুধবার সকালে তাকে অপারেশন করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু যৌনাঙ্গ সংক্রমণ থাকায় অপারেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান জানান, শিশুটির অবস্থা গুরুতর। তবে জীবনহানির আশংকা নেই। ওসিসিতে ভর্তি হবার পর থেকে আস্তে আস্তে তার উন্নতি হতে থাকে। এখন পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে তার চিকিৎসা চলছে। এদিকে শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সাইফলুকে গ্রেফতার করেছে পার্বতীপুর থানার পুলিশ।
পাবর্তীপুরের ওসি মাহমুদুল আলম জানিয়েছেন, সাইফুলকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর জমিরহাট তকেয়াপাড়া গ্রামের বাড়ির পাশে খেলা করছিল পাঁচ বছরের কন্যাশিশুটি।এ সময় তার জেঠা বলে পরিচিত সাইফুল (৩৮) চকলেট ও সন্দেশের প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরদিন ভোরে বাড়ির পাশে হলুদক্ষেতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে পাওয়া যায় বলে জানান তার বাবা পিকআপভ্যানের চালক।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.