ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার জগৎবের, শ্রীরামপুর, বুড়িমারী, কুচলিবাড়ী, জোংরা, পাটগ্রাম ও হাতিবান্ধা উপজেলার গোতামারী ও সদরের কুলাঘাট ইউপিতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। প্রচার-প্রচারণা শেষ আজ শনিবার রাতে। প্রস্তুত প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। তবে কোন কোন প্রার্থী ও সমর্থকদের নানা হুমকি-ধমকিতে প্রার্থীরা ভোট নিয়ে শঙ্কিত, আতঙ্কিত। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রশাসন রয়েছে কঠোরতায়। এর মধ্যেই সরকারি দলের প্রার্থীদের প্রেস্টিজ লড়াইয়ে চলছে পাল্টা-পাল্টি অস্ত্র নিয়ে মহড়া। বুড়িমারী ইউনিয়নে সরকারি দলের প্রার্থী হয়েছেন তাহাজ্জুল ইসলাম মিঠু। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী নিশাদ আনারস মার্কা। দু’প্রার্থীর মধ্যে কেউ কোনো অংশে কম না। প্রতিদিন অভিযোগ নৌকার পোস্টার ছিঁড়ছে আনারস প্রার্থীর সমর্থকরা অপর দিকে আনারস প্রার্থীর পোস্টার ছিঁড়ছে নৌকা মার্কার সমর্থকরা। বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধানকে গ্রেপ্তার নিয়ে সেখানে চলছে উত্তেজনা। বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের এক গ্রুপ পাটগ্রাম থানা ঘেরাও করে রাখে রোমেলকে মুক্তি না দিতে। অপর দিকে আওয়ামী লীগের অপর আর একটি গ্রুপ রোমেল-এর মুক্তি দিতে পাটগ্রাম থানা পাল্টা ঘেরাও করতে আসার খবরে উত্তেজনা দেখা দেয়। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুটে যান পাটগ্রামে প্রস্তুত পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট। শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ভোটার বকস আলী জানান, ভোটের দিন কি হবে জানি না তবে যেভাবে ঘণ্টায় ঘণ্টায় মারামারি হচ্ছে তাতে ভোট কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট হওয়ার আশঙ্কা নেই। ৮০ বছরের বৃদ্ধা আক্কেল আলী জানান, বুড়িমারী-শ্রীরামপুর ইউপিতে শান্তিপূর্ণ ভোট করতে হলে প্রশাসনের কঠোরতা প্রয়োজন। পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবদুল করিম জানান, সরকারি দল জোর খাটিয়ে পুলিশকে ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীদের আটক করে হয়রানি করছে। প্রচার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.