চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ (সম্মান) ‘ই’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে একই পরিবারের চার সদস্যকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ৫০৫ নম্বর কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদেরকে হাটহাজারী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটকরা হলেন- উম্মে হাবিবা, মো. শোয়েব, মো. মোস্তফা মাইনুদ্দিন মারুফ ও হোসাইন আহমদ সোহেল। সম্পর্কে তারা ভাই-বোন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘উম্মে হাবিবা ও মো. শোয়েব একইসঙ্গে পরীক্ষায় অংশ নেন। রমজানুল আলম নামের একজনের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয় শোয়েব। তারা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলার সময় হল পরিদর্শক তাদের প্রবেশপত্র দেখতে চান। এসময় হল পরিদর্শকের সন্দেহ হলে তিনি প্রক্টরিয়াল বডিকে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে আমরা পরীক্ষার হলে গিয়ে তাদের আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদে শোয়েব নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে দাবি করেন। এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রক্টর অফিসের বাইরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিলেন মোস্তফা মাইনুদ্দিন মারুফ। পরবর্তীতে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। এসময় সে নিজেকে শোয়েবের খালাতো ভাই দাবি করেন। তার কাছ থেকে ভুয়া সত্যায়িত করার সিল ও স্ট্যাম্প প্যাড উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি তার মোবাইল ফোনে বেশকিছু বার্তা পাওয়া যায় যা থেকে আমরা পরীক্ষায় জালিয়াতি চেষ্টার প্রমাণ পাই। এ বার্তাগুলো সোহেল রানা নামের একজনের ফোন হতে আসে।’
প্রক্টর আরও বলেন, ‘বার্তাপ্রেরণকারী সোহেলকে শহর থেকে কৌশলে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়। তার মোবাইলে বেশকিছু ভুয়া প্রবেশপত্রের ছবি পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে নিজেকে ৩৫ তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারে ১৩৯তম ও নবম জুডিশিয়ালে ৬১তম সুপারিশকৃত বলে দাবি করেন। পাশাপাশি নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের (২০০৮-২০০৯) শিক্ষাবর্ষের ছাত্র বলেও দাবি করেন। পরবর্তীতে ভর্তি জালিয়াতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে সোহেলসহ তার বোন হাবিবা ও ছোটভাই শোয়েব এবং খালাতো ভাই মারুফকে হাটহাজারী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.