নরসিংদীর শিবপুরে বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার রাতে উপজেলার শেরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে মনিরা বেগমের (১৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার মনিরার বাবা শেরপুর গ্রামের খোরশেদ আলম ও ভাই সোহেল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
মনিরা নরসিংদী ইমপেরিয়াল কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, কয়েক বছর আগে শেরপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে নোবেল মিয়ার সঙ্গে মনিরার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বেশ কিছুদিন আগে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এক সপ্তাহ আগে মনিরার বাবা খোরশেদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি কোনোভাবেই এ সম্পর্ক মেনে নেবেন না। মনিরাও বেঁকে বসেন। একপর্যায়ে মনিরাকে মারধর করেন বাবা। সর্বশেষ গত সোমবার বাবা-মেয়ের মধ্যে বিতণ্ডা হয়। ওই দিনই বাবা মনিরাকে প্রচণ্ড মারধর করেন। এতে মনিরার মৃত্যু হয়। পরে গোপনে বাড়ির পাশের নির্জন স্থানে মনিরার মৃতদেহ মাটিচাপা দেওয়া হয়। কয়েক দিন পর ঘটনা জানাজানি হয়ে যাচ্ছে—এমন আশঙ্কায় পরিবারের সব সদস্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এতে প্রতিবেশীদের সন্দেহ বাড়ে। থানায় জানানো হলে পুলিশ রবিবার রাত ৯টার দিকে মাটি খুঁড়ে মনিরার লাশ উদ্ধার করে।
শিবপুর থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে আমাদের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। লাশ উত্তোলনের সময় মনিরার বাবা, মা কিংবা পরিবারের কোনো সদস্য উপস্থিত ছিল না। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন নিহতের বাবা ও ভাইকে জাঙ্গালিয়ায় আত্মীয়র বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবে পুলিশ।’
এদিকে মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি জানান, মুরাদনগরে এক অজ্ঞাতপরিচয় নারীর (৩২) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রবিবার রাতে উপজেলার কড়ইবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের ক্ষেত থেকে লাশটি উদ্ধার করে বাঙ্গরা বাজার থানার পুলিশ। এর আগে স্থানীয় লোকজন ক্ষেতে একটি লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘আমরা কোনো আলামত খুঁজে পাইনি। আজ (গতকাল) সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে এটি হত্যা, না অন্য কিছু।’
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.