ভুটান ব্যর্থতার পর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। কথা দিয়েছেন কারো অন্যায় আবদার রাখবে না তার কমিটি। দুদিন আগে তার সুরেই কথা বলেছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পেশাদার লীগ কমিটির চেয়ারম্যান সালাম মুর্শেদী। ঘটা করে ঘোষণা দেয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই গণেশ উল্টে গেলো। দলগুলোর অন্যায় আবদারের কাছে মাথানত করেই বাইলজ অম্যান করলো বাফুফে।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন বাইলজ অনুযায়ী চ্যাম্পিয়ন দলের পেশাদার লীগে উন্নিত হওয়ার কথা। তবে এখানেই আপত্তি ছিল ক্লাবগুলোর। তারা বাইলজ অমান্য করে দুটি ক্লাবকে প্রমোশন দেয়ার দাবি তোলে চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে সাত ক্লাব। দু’দিন আগেও বাইলজ অমান্য করা ক্লাবগুলোর দাবি অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছিলেন পেশাদার লীগ কমিটির চেয়ারম্যান।
তার উপস্থিতিতেই শনিবার বাফুফের নির্বাহী কমিটির এক সভায় মেনে নেয়া হয় ক্লাবগুলোর এই দাবি। ফলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লীগ থেকে দুটি দল উঠবে পেশাদার লীগে। নেমে যাবে একটি দল। পেশাদার লীগ থেকে চ্যাম্পিয়নশিপ লীগে নেমে যাবে এক দল। দুটি উঠবে আর ফরাশগঞ্জ ফিরলে ১৪ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে দেশের ফুটবলের এই সর্বোচ্চ আসর। নতুন করে শুরু করার আগেই সালাউদ্দিন কথা দিয়ে তা রাখতে পারেননি। তবে তার ওপর কিভাবে আস্থা রাখবে এদেশের ফুটবলপ্রেমীরা।