এদগার্দো বাউজাকে আর্জেন্টিনা দলের নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি জেরার্ডো মার্টিনোর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। সেভিয়ার হোর্হে সাম্পাওলি, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ডিয়েগো সিমিওনে আর টটেনহামের মাউরিসিও পচেত্তিনো কোচ হিসেবে আর্জেন্টিনা ফুটবল সংস্থার (এএফএ) পছন্দের শীর্ষে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাদের রাজি করাতে পারেনি।
আগামী সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শুরু হবে। তার আগে আর্জেন্টিনা দলকে গুছিয়ে নেয়া হবে ৫৮ বছর বয়সী এই কোচের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
সবার আগে বাউজার কাজ হবে লিওনেল মেসি মন ফেরানো। কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসরে ফাইনালে চিলির কাছে হারার পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান মেসি।
টালমাটাল অবস্থার মধ্যে এএফএ’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে আরমান্দো পেরেজ সোমবার রাতে বাউজাকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিলেন।
অন্যদের মতো পরিচিতি না থাকলেও বাউজার কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এনে দিয়েছিলেন তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা দুটি দলকে।
২০০৮ সালে ইকুয়েডরের ক্লাব কুইতোকে কোপা লিবার্তাদোরেস জিতিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে একই ট্রফি জেতান আর্জেন্টিনার সান লরেঞ্জোকে। দুটি ক্লাবের জন্যই সেটি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের সমকক্ষ এই ট্রফি প্রথম জেতা। সর্বশেষ দায়িত্বে ছিলেন ব্রাজিলের সাও পাওলোর।
১৯৯০ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ছিলেন বাউজা। কিন্তু এক ম্যাচও খেলতে পারেননি তিনি। ডাগ আউটে বসেই দেখেছেন ফাইনালে দলের হার।
এবার বাউজার সামনে সুযোগ এসেছে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা পাইয়ে দেয়ার। আপাতত ১ সেপ্টেম্বর উরুগুয়ের বিপক্ষে বাছাই পর্বের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তার নতুন অধ্যায়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.