প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমবায় দর্শনকে কাজে লাগিয়ে আমরা ধনী-গরিবের বৈষম্য কমাতে সক্ষম হয়েছি। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তারপরও বহুদূর যেতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
শনিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৪৫তম সমবায় দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন করতে হলে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের নীতি দেশকে উন্নত করা। সমবায়কে বহুমুখী হিসেবে গড়ে তোলা। সমবায়কে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবো।
তিনি বলেন, দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করতে ক্ষুদ্রঋণের বদলে ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ক্ষুদ্র সঞ্চয় ব্যবস্থার আওতায় কেউ ২০০ টাকা জমা দিলে তাকে আরও ২০০ টাকা করে দুই বছর পর্যন্ত দেয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রত্যেকে স্বাবলম্বী হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সমবায় দর্শনকে বঙ্গবন্ধু সত্যিকারের দর্শন হিসেবে দেখেছিলেন। এটাকে কাজে লাগিয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন সমাজের ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর করতে। এ দর্শন কাজে লাগিয়ে আমরা ধনী-গরিবের বৈষম্য কমাতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত দেশ হবে। এক্ষেত্রে সমবায় আন্দোলনটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পও গড়ে উঠবে। যত্রতত্র চাষের জমি নষ্ট করে য্নে শিল্প কারখানা গড়ে না ওঠে এজন্য এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এবং পাঁচ ব্যক্তির হাতে সমবায় পুরস্কার ২০১৪ তুলে দেয়া হয়।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.