দর্শকপ্রিয় অভিনেতা আলী যাকেরকে এই সময়ে এসে টিভি নাটকে দেখা যায় না বললেই চলে। তার ছেলে ইরেশ যাকেরও আগের মতো নিয়মিত অভিনয় করেন না। অফিসিয়াল কাজে তাকে এত বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতেই অভিনয় করতে হয়। তবে আলী যাকের জানালেন, যদি গল্প ভালো হয় এবং একটু আরাম করে কাজ করা যায় তাহলে তিনি টিভি নাটকে অভিনয় করবেন। এদিকে নিজেদের জীবনের নানান গল্প নিয়ে আজ দর্শকদের সামনে উপস্থিত হবেন আলী যাকের ও ইরেশ যাকের। কারণ, আজ দু’জনেরই জন্মদিন। এ উপলক্ষে পিতা-পুত্র চ্যানেল আইয়ের সরাসরি অনুষ্ঠান ‘তারকা কথন’-এর আজকের পর্বে উপস্থিত থাকবেন। আলী যাকেরের বাসা থেকে এটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ এবং জন্মদিন প্রসঙ্গে আলী যাকের বলেন, সত্যি বলতে কী আমার নিজের জন্মদিন নিজেরই মনে থাকে না। কিন্তু রুমা আবার কখনো ভুলতেও দেয় না। ঠিকই জন্মদিন আসার আগে আমাকে মনে করিয়ে দেয়। আমার বাবা-মা কখনো ছোটবেলায় জন্মদিন বিশেষভাবে উদ্যাপন করেননি। শুধু এটুকু মনে আছে, এ দিনটিতে আমার কপালে পয়সা ছুঁয়ে তা ফকিরকে দিয়ে দেয়া হতো। এর বাইরে বিশেষ আর কিছুই করা হতো না। ইরেশ যাকের বলেন, ১৯৮৬-এর কথা। আমি তখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি। সেই বছর আমাদের বেইলী রোডের বাসার বাগানে প্রথম আমার বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে জন্মদিনের পার্টি করা হলো। এরপর সাধারণত বাবার জন্মদিনেই টুকটাক পার্টি হয়েছে, কিন্তু আমার জন্য নয়। পড়াশোনার জন্য মাঝে প্রায় ১০ বছর আমি বাইরে ছিলাম। তখন জন্মদিনে পরিবারের কেউই আমার সঙ্গে ছিলেন না। তবে দেশে ফেরার পর মনে আছে, একবার সবাই আমার জন্মদিন ভুলে গেছেন। পরে অবশ্য সবার মনে পড়েছিল। উল্লেখ্য, টিভি নাটকে ইরেশ যাকেরের অভিষেক ঘটে জিয়াউল হায়দার কিসলুর নির্দেশনায় ‘বাতাসের খাঁচা’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। এ নাটকে সহশিল্পী হিসেবে তিনি তার বাবাকে পেয়েছিলেন। এরপরেও বাবার সঙ্গে আরো বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন ইরেশ। সর্বশেষ মাবরুর রশীদ বান্নাহর নির্দেশনায় পিতা-পুত্র একসঙ্গে ‘বাবার ডায়েরি’ নাটকে অভিনয় করেন প্রায় চার বছর আগে। এদিকে বিগত পাঁচ বছর ধরে কোনো ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছেন না ইরেশ যাকের।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.