ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে ৬০ জেলেসহ তিনটি ট্রলার ডুবির পর আরো ছয় ট্রলার ডুবির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯৮ জেলে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের বাড়ি বরগুনা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। এর আগে গতকাল (৬ই নভেম্বর) দুপুরে তিন ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজন ফিরে এসেছেন।বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী গতকাল বিকালে জানান, শনিবার এফবি ভাইভাই, এফবি নাজমুল ও এফবি সুখতারা ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৪৬ জেলে উদ্ধার হলেও তিন জেলে মো. সেলিম মাঝি, কালু খাঁ ও মোস্তফা মাঝি নিখোঁজ ছিল। তারা ভাসতে ভাসতে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনে ঢুকে পড়ে। গতকাল সকালে তাদের ফিরিয়ে আনতে ট্রলার পাঠানো হলে দুপুরের পরই তারা ফিরে আসেন। তিনি আরো জানান, ট্রলার নিখোঁজের খবর তাৎক্ষণিকভাবে কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনকে জানানো হয়েছে। তারা ফোর্স নিয়ে ট্রলার ও জেলেদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। শনিবার সকাল থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে ঝড়ো হাওয়ায় নিখোঁজ ট্রলার ৭টি হলো- এফবি নুরভানু, এফবি তামান্না, এফবি আসলাম, এফবি আবদুল্লাহ, এফবি মেহেরিন, এফবি রুমানা, এফবি মায়ের দোয়া। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব জেলে ও ট্রলারের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। আ. জলিলের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারটি সুন্দরবন সংলগ্ন পক্ষিদিয়া এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যাওয়ার সময় ওই ট্রলারে ১০ জন জেলে ছিল। এ সময় ওই ট্রলারে থাকা জেলেরা বাঁশ ও ড্রাম ধরে ভাসতে থাকেন। ভাসমান অবস্থায় এক জেলে তার বাবাকে মোবাইলে ফোন করে ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর জানান। কিছুক্ষণ পর ওই মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বরগুনা জেলা ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান মাঝি বলেন, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.