হ্যাঁ, আগেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জড়িয়েছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। একবার নয়, একাধিকবার। তবে সেগুলো প্রাথমিক পর্যায়েই ছিল। ১৯৮৮, ২০০০, ২০০৪ ও ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এবং ২০১৪ সালে নিউ ইয়র্কের গভর্নর পদে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা উঠেছিল। তবে কখনই এবারের মতো বলিষ্ঠ অবস্থানের ধারে-কাছে যেতে পারেননি তিনি। সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে ট্রাম্প তৎকালীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশের রানিংমেট তথা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন বলে ব্যাপক আলোচনা ছিল। এমনকি ট্রাম্পকে বিবেচনাও করেছিল বুশ শিবির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ড্যান কুয়াইলকে বেছে নেয়া হয়। ১৯৯৯ সালে অখ্যাত রিফর্ম পার্টির পক্ষ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে একটি জরিপে সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশ ও সম্ভাব্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থী আল গোরের বিপরীতে ট্রাম্পের সাত শতাংশ সমর্থন রয়েছে বলে দেখানো হয়। পরে অবশ্য দলীয় কোন্দলের জেরে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এর পরও রিফর্ম পার্টির ক্যালিফোর্নিয়া ও মিশিগান প্রাইমারিতে জিতেছিলেন তিনি। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন চাওয়ার সম্ভাবনার কথা নিজেই জানান ট্রাম্প। ২০১১ সালের মার্চে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল ও এনবিসি নিউজের একটি জরিপে দেখা যায়, সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন তিনি! তৎকালীন ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর মিট রমনির চেয়ে এক পয়েন্ট এগিয়ে ছিলেন তিনি তখন। তবে পরে মিট রমনি মনোনয়ন পান, আর নির্বাচনে জড়াননি ট্রাম্প। তখন অনেকে বলছিলেন, তার প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা আসলে নিজের রিয়েলিটি শো দ্য অ্যাপ্রেন্টিসের প্রচারণার জন্য। ২০১৩ সালে তার নিউ ইয়র্ক গভর্নর পদে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখা দেয়। রিপাবলিকান দল থেকেও বেশ সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি জানান, গভর্নর হওয়ার কোন ইচ্ছা নেই তার। ২০১৫ সালের দিকে আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য গবেষণা শুরু করেন তিনি। অবশেষ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। বাকিটা ইতিহাস।
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.