
রবিবার বিকেলে কুমিল্লায় গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডে সেনাবাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তার বিচারের দাবি জানান। একই সঙ্গে তিনি এই ইস্যুতে সেনাবাহিনী থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্যের দাবি জানান। তনু হত্যাকাণ্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘সেনাবাহিনীর হাতে রক্তের দাগ আমরা কোনোভাবেই দেখতে চাই না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না আমাদের গৌরবের সেনাবাহিনী বিশ্বের কাছে কোনোভাবে হেয়প্রতিপন্ন হোক। তনুর মামলা তদন্তে সিভিল প্রশাসনকে সেনাবাহিনী শতভাগ সহায়তা করবে, আমরা তাই কামনা করছি।’ এর আগে বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা থেকে গণজাগরণ মঞ্চের রোডমার্চ কুমিল্লা শহরে এসে পৌঁছায়। তারপর সাড়ে ৪টায় নগরীর কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে শুরু হয় সমাবেশ। তনু হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ঢল নামে এই সমাবেশে। সমাবেশে ইমরান বলেন, ‘আজ দেশের অবস্থা এমন হয়েছে যে, সত্য কথা বলা যায় না। যারা সত্য কথা বলে, তাদেরকে পরদিন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। পাওয়া যায় এয়ারপোর্ট এলাকায়। আমাদের আন্দোলন কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নয়। এই আন্দোলন ধর্ষকের বিরুদ্ধে।’ গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক লাকী আক্তার বলেন, ‘পয়লা বৈশাখের ন্যক্কারজনক ঘটনার দোষীদের যদি সুষ্ঠু বিচার হতো, তবে এই ঘটনা ঘটত না। তনু হত্যাকাণ্ডের বিচারে দেশের সর্বত্র জনগণের ক্যান্টনমেন্ট গড়ে তোলা হবে। তনুর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’ সমাবেশ শেষে আগামী ৩০ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে ১টা অবধি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে তনু হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি আহ্বান করেন ইমরান এইচ সরকার। সমাবেশ উপলক্ষে কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর সংযোগস্থল লাকসাম রোড, চকবাজার, পুলিশ লাইন্স ও ভিক্টোরিয়া কলেজ ডিগ্রি শাখা রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল পুলিশ। এ ছাড়াও সমাবেশে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো নগরীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশি পাহারা।
এদিকে তনুর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা ৭টায় কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর থেকে একটি মশাল মিছিল বের করেন।
3 টি মন্তব্য
Test
hi thi is test
fzefezfze
test
fzefezfze
test 2