নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে হতে পারে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো সিটিতে দলীয় পরিচয় ও প্রতীকে নির্বাচন হবে। গতকাল রোববার কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। কমিশন সচিবালয় থেকে জানা গেছে, ২২ থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে যেকোনো দিন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হতে পারে। আজ সোমবার কমিশন এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ এবং আগামী বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা সিটির মেয়াদ শেষ হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটির নির্বাচন করার বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। হাতে সময় কম বিধায় আজকালের মধ্যেই এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আইনি জটিলতা শেষ হলে কুমিল্লা সিটির নির্বাচন করা হবে। সরকার আইন সংশোধনের মাধ্যমে দলীয় পরিচয় ও প্রতীকে সিটি করপোরেশন নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এ-সংক্রান্ত নির্বাচন পরিচালনা ও আচরণবিধি সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এ জন্য কমিশন বিধিমালা সংশোধনের প্রস্তাব করে তা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কমিশন সচিবালয় থেকে জানা যায়, মন্ত্রণালয় বিধিমালা যাচাই-বাছাই শেষে গতকাল কমিশনে পাঠিয়েছে। আজ দুটি বিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হতে পারে। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয় ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি। কমিশন সচিবালয় থেকে জানা যায়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মাস্টারপ্ল্যানে করপোরেশনের আয়তন ৫৩ দশমিক ৪ বর্গ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ১৫০ বর্গ কিলোমিটার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। গত মাসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে নতুন এ প্রস্তাব পাঠানো হয়। গত ৫ অক্টোবর মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী করপোরেশনের বাইরের এলাকাগুলো করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন মাহবুবুর রহমান ও হাবিব মিয়া নামের দুই ব্যক্তি। আদালত তিন মাসের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী সম্প্রসারিত এলাকা করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচন দিতে বলেছে।